কুয়াকাটায় ৩ পর্যটককে বাস শ্রমিকদের মারধর
বাস শ্রমিকরা এক হয়ে তিন পর্যটককে মারধর করেন
কুয়াকাটায় তিন পর্যটককে মারধর করেছেন বাস শ্রমিকরা। শনিবার (১৬ জুলাই) বিকেলে কুয়াকাটা পৌরসভার অস্থায়ী বাস টার্মিনাল তুলাতলীতে এ ঘটনা ঘটে।
মারধরের শিকার রুবেল জানান, তারা পারিবারিকভাবে শিশুসন্তানসহ আটজন বরিশাল থেকে কুয়াকাটার উদ্দেশ্যে ‘ছন্দা’ নামের একটি বাসে বেলা ১১টার দিকে ওঠেন। পথে রুবেলের সন্তান অসুস্থ হয়ে পড়ে। রুবেল তার নির্ধারিত সিটে সন্তানকে রেখে নিজে দাঁড়িয়ে থাকেন। এ সময় বাসের কন্ডাক্টর এসে দাঁড়িয়ে থাকলে বাড়তি ভাড়া গুনতে হবে জানিয়ে উচ্চবাচ্য বিনিময় করেন।
রুবেল আরও জানান, এ ঘটনার কিছু অংশ ভিডিও করেন রুবেল এবং পাশের সিটে বসা পর্যটক লক্ষ্মীপুর থেকে কুয়াকাটা ভ্রমণে আসা ওই বাসের যাত্রী রিপন মাহমুদ। কন্ডাক্টর ভিডিও করায় হুমকি দেন। বিকেলে বাসটি কুয়াকাটায় এসে থামতেই বাস শ্রমিকরা সংঘবদ্ধভাবে পর্যটক পরিবারটির ওপর হামলে পড়ে। তারা মারধর করতে থাকে। ভিডিও করায় পর্যটক রিপন মাহমুদকে মারধর করা হয়।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে মহিপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোজাম্মেল গিয়ে বাসচালক মো. কামাল ও সুপারভাইজার জামালসহ ওই পর্যটকদের থানায় ডেকে নেন। বাসচালক কামাল হামলার বিষয় অস্বীকার করে বলেন, একটু কথাকাটাকাটি হয়েছে।
কুয়াকাটা ট্যুর গাইড অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কেএম বাচ্চু বলেন, ‘পর্যটকদের ওপর হামলার ঘটনা নতুন নয়, এর আগেও বহুবার হয়েছে। বিশেষ করে পটুয়াখালী ও বরিশালের বাস স্টাফরা পর্যটকদের সঙ্গে অসদাচরণ করে আসছে। এর একটি সমাধান হওয়া দরকার। না হয় কুয়াকাটা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবেন পর্যটকরা।’
মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল খায়ের জাগো নিউজকে বলেন, পর্যটক পরিবারটি লিখিত অভিযোগ দিতে অস্বীকার করায় আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া যায়নি। তবে আলোচনার মাধ্যমে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
আসাদুজ্জামান মিরাজ/এসজে/এমএস