হাবিপ্রবির তিন ছাত্র চূড়ান্তভাবে বহিস্কার
ভর্তি পরীক্ষায় ডিজিটাল জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ তিন ছাত্রকে চূড়ান্তভাবে বহিস্কার করা হয়েছে।
বহিস্কৃতরা হলেন, হাবিপ্রবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পিএইচডির ছাত্র অরুণ কান্তি রায় সিটন, আবাসিক হল ডি শাখার ছাত্রলীগের সভাপতি বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের লেভেল-৪ সেমিস্টার-১ এর ছাত্র এস এম জাহিদ হাসান ও টেলিকমিউনিকেশন অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের লেভেল-২ সেমিস্টার-১ এর ছাত্র অনিন্দ্য দত্ত অন্তু।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিআইপি সভা কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ভিসি রুহুল আমীনের সভাপতিত্বে উক্ত সভায় রিজেন্ট বোর্ডে সদস্য, বিভিন্ন বিভাগের ডিনগণ এবং সিনিয়র শিক্ষকগণ উপস্থিত ছিলেন।
হাবিপ্রবির প্রক্টর শফিকুল ইসলাম জানান, ইতোপূর্বে অরুণ কান্তি রায় সিটন ও এস এম জাহিদকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সাময়িক বহিস্কার করা হয়েছিল এবং উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের আলোকে বিগত ১৮ নভেম্বর ২০১৪ তারিখে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটি ও রিজেন্ট বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় তদন্ত কমিটির সুপারিশের আলোকে অভিযুক্ত উক্ত তিনজন ছাত্রকে আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য ৭ দিনের সময় দেয়া হয়। তাদের জবাব ২৭ নভেম্বর ২০১৪ তারিখে বিশ্ববিদ্যালয় শৃঙ্খলা কমিটির সভায় সন্তোষজনক বিবেচিত না হওয়ায় কর্তৃপক্ষ উক্ত তিনজন ছাত্রকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিস্কার করল। এদিকে তিন ছাত্রকে বহিস্কারের প্রতিবাদে তাৎক্ষণিক ভাবে মিছিল ও সমাবেশ করেছে ছাত্রলীগ।
হাবিপ্রবির ছাত্রলীগের সভাপতি ইফতেখারুল ইসলাম রিয়েল জানান, আমরা লিখিত ভাবে জবাব দেওয়ার পরও ভিসি সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক পন্থায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাখান করছি এবং আজ থেকে এক দফার আন্দোলন শুরু। সেটি হলো ভিসির রুহুল আমীনের পদত্যাগ চাই।
উল্লেখ্য, গত ৪ নভেম্বর মঙ্গলবার বিকেলে হাবিপ্রবিতে ২০১৫ শিক্ষাবর্ষের অনার্স ১ম বর্ষ ভর্তি পরীক্ষায় ১০৩ নং কক্ষে অত্যাধুনিক মোবাইল ডিভাইস ব্যবহার করে নকল করার সহযোগীতা করার অপরাধে হাবিপ্রবি কর্তৃপক্ষ বৈঠক করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক অরুন কান্তি রায় সিটন ও আবাসিক হল ডি শাখার ছাত্রলীগের সভাপতি এসএম জাহিদ হোসেনকে সাময়িক বহিস্কার করে। ওই ২ ছাত্রলীগ নেতাকে বহিস্কারের প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা ৪ নভেম্বর মঙ্গলবার রাত থেকেই বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছে।