ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

ইভিএম নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য

ক্ষমা চাইলেন আওয়ামী লীগ নেতা রাসেল

জেলা প্রতিনিধি | পটুয়াখালী | প্রকাশিত: ০৭:৪৭ পিএম, ০৩ আগস্ট ২০২২

ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট গ্রহণের গোপনীয়তা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেন পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য জোবায়দুল হক রাসেল। সেই বক্তব্য প্রত্যাহার করে নির্বাচন কমিশনের তদন্ত কমিটির কাছে ক্ষমা চেয়েছেন তিনি।

বুধবার (৩ আগস্ট) বেলা ১১টা থেকে দুপুর পর্যন্ত বাউফল উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে এ তদন্ত অনুষ্ঠিত হয়।

নির্বাচন কমিশনের তদন্ত কমিটির সামনে জোবায়দুল হক রাসেল তার মৌখিক বক্তব্য প্রত্যাহার করে ক্ষমা চান। রাসেল বলেন, ওই বৈঠকে যে বক্তব্য দিয়েছিলেন তা যথাযথভাবে উপস্থাপন করা হয়নি।

এ সময় বরিশালের সহকারী আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা সোহেল সামাদ, জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা খান আবি শাহনুর খান, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা তারিকুল ইসলামসহ নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান ইব্রাহিম ফারুক ও চশমা প্রতীকের প্রার্থী এসএম মহাসিন, বাউফল প্রেস ক্লাবের সভাপতি আমিরুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোসারফ হোসেন খান উপস্থিত ছিলেন।

পরে তদন্ত কর্মকর্তা সরেজমিনে তদন্তের জন্য নাজিরপুর তাঁতেরকাঠি ইউনিয়নে যান। সেখানে অবস্থান করে তিনি স্থানীয় লোকজনের বক্তব্য নেন।

তদন্ত কর্মকর্তা ও বরিশাল অঞ্চলের নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন জানান, বৃহস্পতিবারের (৪ আগস্ট) মধ্যে মাঠ পর্যায়ের এই তদন্ত প্রতিবেদন নির্বাচন কমিশনে পাঠানো হবে।

গত ২৩ জুলাই বাউফল উপজেলার নাজিরপুর তাঁতেরকাঠি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের একটি উঠান বৈঠকে জোবায়দুল হক রাসেল তার বক্তব্যে বলেন, ‘ভোট হবে ইভিএমে। কে কোথায় ভোট দেবেন তার তথ্য আমাদের কাছে চলে আসবে’।

তার এ বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হলে নির্বাচন কমিশন ২৫ জুলাই নাজিরপুর তাতেরকাঠী ইউনিয়নের নির্বাচন স্থগিত করে। ২৭ জুলাই ওই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকেও রাসেলকে শোকজ করা হয়।

আব্দুস সালাম আরিফ/এসআর/জিকেএস