পলেস্তারা খসে পড়ছে, তবুও চলছে পাঠদান
পুরোনো ভবনের ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ছে
পটুয়াখালীর ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়। দুই শিফটে এ বিদ্যালয়ে বর্তমানে অধ্যয়ন করছে প্রায় ১৮০০ শিক্ষার্থী। কিন্তু জায়গার সংকুলান না হওয়ায় বিদ্যালয়ের পুরোনো কয়েকটি ভবনে চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান চলছে। ফলে ছাদের পলেস্তারা পড়ে মাঝে মধ্যে আহত হচ্ছে তারা।
সম্প্রতি নবম শ্রেণির একটি কক্ষে পাঠদানের সময় ভবনের সিলিং ফ্যান মাথার ওপর পড়ে তিন ছাত্র আহত হয়। তাদের পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এ ঘটনার পর তড়িঘড়ি করে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন শ্রেণিকক্ষে পুরোনো ফ্যান সরিয়ে নতুন ফ্যান স্থাপন করে।
সরেজমিনে দেখা যায়, পুরোনো ভবনে শিক্ষার্থীদের পাঠদান চলছে। ভবনের বেশির শ্রেণিকক্ষের জরাজীর্ণ অবস্থা। ছাদ থেকে খসে পড়ছে পলেস্তারা।

একাধিক শিক্ষার্থীরা জানায়, ‘আমরা যখন পুরোনো ভবনে ক্লাস করি তখন ভয়ে ভয়ে থাকি। কখন যেন মাথার ওপর ছাদের পলেস্তারা পড়ে আমরা আহত হই।’
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মোহম্মদ আলাউদ্দিন জাগো নিউজকে বলেন, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর নতুন করে দুটি ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নিলেও পুরোনো কয়েকটি ভবন না ভাঙার কারণে তা সম্ভব হচ্ছে না। এ কারণে পুরাতন ভবনেই ক্লাস পরিচালনা করতে হয়।

বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিন জাগো নিউজকে বলেন, গত তিনমাস আগে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের এ সংশ্লিষ্ট ফাইল অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে। তবে ভবনগুলো ভাঙার জন্য এখনো ফাইল অনুমোদন হয়নি। এ কারণে নতুন ভবন নির্মাণ সম্ভব হচ্ছে না।
বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মোহম্মদ কামাল হোসেনের বরাত দিয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মিজানুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, কীভাবে শিক্ষার্থীদের নিরাপদে পাঠদান নিশ্চিত করা যায় সে বিষয়ে এরই মধ্যে উদ্যোগ নিয়েছি।
আব্দুস সালাম আরিফ/এসজে/জেআইএম