ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

আন্দোলনের ১৯ দিন

প্রধানমন্ত্রীর দিকে তাকিয়ে চা-শ্রমিকরা

জেলা প্রতিনিধি | হবিগঞ্জ | প্রকাশিত: ১২:০৫ পিএম, ২৭ আগস্ট ২০২২

চা-শ্রমিকদের আন্দোলনের ১৯তম দিন আজ। দৈনিক মজুরি ৩০০ টাকা করার দাবিতে এখনও পর্যন্ত অনড় রয়েছেন হবিগঞ্জের ২৪টি চা বাগানের শ্রমিকরা। তবে যেহেতু বিকেলে প্রধানমন্ত্রী বাগান মালিকদের নিয়ে বসবেন তাই ওই বৈঠকেই বিষয়টির সমাধান হবে বলে আশা করছেন তারা।

চা শ্রমিকরা জানান, এখন দ্রব্যমূলের ঊর্ধ্বগতির বাজারে ১২০ টাকায় কিছুই হয় না। শিক্ষার্থীদের স্কুলে যেতে ৪০ টাকা ভাড়া চলে যায়। বাকি ৮০ টাকায় খাবার হয় না। এখন যেহেতু প্রধানমন্ত্রী মালিক ও শ্রমিকদের নিয়ে বসছেন তাই সমাধান হয়ে যাবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেন। সমাধান হবেই এমন বিশ্বাস রয়েছে তাদের।

দাড়াগাঁও বাগান পঞ্চায়েত সভাপতি প্রেমলাল আহির বলেন, আজ যেহেতু প্রধানমন্ত্রী বৈঠক করবেন, আশা করছি আমাদের দাবির বিষয়টি সমাধান হবে। এটি নিয়ে যেন বাড়াবাড়ি না হয়। আমরা আশা করি আজ আন্দোলন শেষ হবে। দাবিও পূরণ হবে।

জানা গেছে, দৈনিক মজুরি ৩০০ টাকার দাবিতে গত ৯ আগস্ট থেকে ৪ দিন ২ ঘণ্টা করে কর্মবিরতি করেন চা শ্রমিকরা। এরপর তারা ১৩ আগস্ট থেকে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ করেন। এর মধ্যে কয়েক দফা বৈঠক হলেও তা সমাধান হয়নি। এরইমধ্যে তারা ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করেন। শেষ পর্যন্ত গত শনিবারের বৈঠকে তাদের মজুরি ১৪৫ টাকা নির্ধারণ করা হলে নেতারা আন্দোলন প্রত্যাহার করেন।

পরবর্তীতে শ্রমিকরা এ মজুরি মানেন না জানিয়ে ফের আন্দোলনে নামেন। কয়েক দফা বৈঠকের পর সোমবার তাদের একাংশ কাজে যোগ দিলেও মঙ্গলবার ফের তারা আন্দোলন শুরু করেন। এদিকে নির্ধারিত সময় অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী আজ শনিবার বিকেলে বাগান মালিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন।

jagonews24

এদিকে চা শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন তাদের সন্তানরাও।

চা শ্রমিকের মেয়ে মুন্নি আহির বলে, ১২০ টাকা মজুরিতে আমরা পড়ালেখা করতে পারি না। পরীক্ষা দিতে পারি না। তাই আমরা আন্দোলনে এসে যোগ দিয়েছি।

লাভলী গোয়ালা বলেন, আমরা আমাদের মায়ের মজুরি বৃদ্ধির জন্য তাদের সঙ্গে আন্দোলনে যুক্ত হয়েছি। যে মজুরি দেওয়া হয় তাতে আমরা বই, খাতা, কলম কিনতে পারি না। পরীক্ষার ফি দিতে পারি না। আমাদের যাতায়াত খরচ দৈনিক ৪০ টাকা খরচ হয়। ৮০ টাকায় আমাদের দুই কেজি চালও হয় না।

চা শ্রমিক স্বর্ণা সাও বলেন, যেহেতু প্রধানমন্ত্রী আজ (শনিবার) বৈঠকে বসছেন তাই আমরা আশা করি এটির সমাধান হবে। তিনি একটি সমাধান দেবেন।

সৈয়দ এখলাছুর রহমান খোকন/এফএ