ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ দিনের নবজাতকের মৃত্যু, হাসপাতালে বাবা-মা

জেলা প্রতিনিধি | নীলফামারী | প্রকাশিত: ০৮:০৭ পিএম, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২

তিনদিন আগে রশিদুল-মোসলেমা দম্পতির কোলজুড়ে এসেছিল ফুটফুটে ছেলেসন্তান। প্রথম সন্তানের জন্মে গোটা পরিবারে বইছিল খুশির জোয়ার। তবে কে জানতো নাম পাওয়ার আগেই সড়ক দুর্ঘটনায় পৃথিবী থেকে বিদায় নেবে সে নবজাতক।

রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) ভোরে রংপুরের তারাগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ওই নবজাতকের। আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নবজাতকের মা-বাবা।

jagonews24

নিহত ওই নবজাতক নীলফামারীর ডোমার উপজেলার চিলাহাটির বাসিন্দা রশিদুল-মোসলেমা দম্পতির সন্তান।

নবজাতকের পরিবার ও হাসপাতাল সুত্রে জানা গেছে, তিনদিন আগে জন্ম নেয় ওই নবজাতক। জন্মের পর থেকে সে জন্ডিস ও শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছিল। নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে নবজাতক ওয়ার্ডে তার চিকিৎসা চলছিল। পরে বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে উন্নত চিকিৎসার জন্য শিশুটিকে অ্যাম্বুলেন্সে করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিচ্ছিলেন রশিদুল-মোসলেমা দম্পতি।

রোববার ভোরের দিকে রংপুর-দিনাজপুর আঞ্চলিক সড়কের খারুভাজ ব্রিজ সংলগ্ন সলেয়াশা বাজার এলাকায় অ্যাম্বুলেন্সের সঙ্গে সৈয়দপুরগামী ভাই ভাই ক্ল্যাসিক পরিবহনের বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে অ্যাম্বুলেন্সের চালকসহ যাত্রীরা আহত হন। হাইওয়ে পুলিশ ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় আহতদের রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটি মারা যায়।

jagonews24

এ দুর্ঘটনায় আরও দুজন নিহত হন। তারা হলেন নীলফামারী জেলা শহরের কবরস্থান মোড় এলাকার বাসিন্দা ও অ্যাম্বুলেন্সের চালক আল আমিন এবং জেলা সদরের লক্ষ্মীচাপ কচুয়া চেয়ারম্যান পাড়ার বাসিন্দা জাহিনুর ইসলামের ছেলে রফিকুল ইসলাম।

তারাগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ মাহবুব মোর্শেদ বলেন, ভোর সাড়ে ৫টার দিকে সলেয়াশা বাজারের কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটে। পরে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে এক শিশুসহ তিনজন মারা গেছেন। দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া অ্যাম্বুলেন্স ও বাস পুলিশ ফাঁড়িতে এনে রাখা হয়েছে।

কয়েক দিন আগেও দুর্ঘটনায় মহাসড়কের ওই স্থানে ৯ জন প্রাণ হারিয়েছেন বলেও জানান ওসি।

এসআর/জিকেএস