ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

জাল সনদে চাকরি করছেন নীলফামারীর ২৪ শিক্ষক

জেলা প্রতিনিধি | নীলফামারী | প্রকাশিত: ১১:৩৩ এএম, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২

জাল সনদ দিয়ে চাকরি করছেন নীলফামারীর ২৪ শিক্ষক। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা বিভাগ (ডিআইএ) রাজশাহী ও রংপুর অঞ্চলের জাল সনদে চাকরিরত শিক্ষকদের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্বের প্রকাশিত তালিকায় তাদের নাম পাওয়া গেছে। এদের ১৯ শিক্ষক এমপিওভুক্ত ও পাঁচজনের নাম ননএমপিও ভুক্ত তালিকায় রয়েছে।

তারা হলেন- নীলফামারী সদরের চাঁদের হাট উচ্চ বিদ্যালয়ের কম্পিউটার শিক্ষক রাদিফা বেগম, দুহুলি উচ্চ বিদ্যালয়ের কম্পিউটার শিক্ষক মোছা. ছাবিনা ইয়াছমিন ও মোছা. রওশন আক্তার, জলঢাকা উপজেলার জলঢাকা দ্বি-মুখী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের শরীর চর্চা শিক্ষক মুকুল হোসেন, মীরগঞ্জ হাট বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান শিক্ষক আইয়ুব আলী, বালাপাড়া উচ্চ দ্বী-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের অনাথ চন্দ্র রায় ও কম্পিউটার শিক্ষক আনারুল হক, কিশোরগঞ্জ উপজেলার চাঁদ খানা উচ্চ বিদ্যালয়ের কম্পিউটার শিক্ষক শিরিনা আক্তার, মাগুড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞানের শিক্ষক মো. লতিফুজ্জামান, মনিকা রানী রায় ও ইংরেজি শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক, ডিমলা উপজেলার সোনাখুলী চাপানী সৈকত নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোঃ আশরাফ হোসেন, জটুয়াখাতা উচ্চ বিদ্যালয়ের ধর্ম শিক্ষক সাইফুর রহমান, ছাতনাই কলোনি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের মফিজুর রহমান, খড়িবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের কম্পিউটার শিক্ষক নাজিয়া আলম, তিস্তা কলেজের কম্পিউটার প্রভাষক আব্দুর রাজ্জাক, সৈয়দপুর উপজেলার সাতপাই উচ্চ বিদ্যালয়ের আজিজুল ইসলাম ও ধর্মশিক্ষক আব্দুল মতিন। তারা এমপিওভুক্ত শিক্ষক বলে জানা গেছে।

এছাড়া নীলফামারী সদরের ছমির উদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজের বাংলা প্রভাষক মোছা. তামান্না সুলতানা, ডোমার উপজেলার কেতকি বাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের বাংলা শিক্ষক মোছা. আকলিমা বেগম, বামুনিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের কম্পিউটার শিক্ষক মো. জহুরুল হক, সৈয়দপুর উপজেলার লক্ষণপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের জীব বিজ্ঞানের প্রভাষক মোছা. মেরিনা মান্নান ও সমাজ বিজ্ঞানের প্রভাষক মো. মজিবুর রহমান, ডিমলা উপজেলা জটুয়াখাতা উচ্চ বিদ্যালয়ের কম্পিউটার শিক্ষক আলমগীর রহমানের নাম ননএমপিওভুক্ত তালিকায় রয়েছে।

ডিআইএর তথ্য মতে, ২০১৩ সাল থেকে চলতি বছরের ২৫ মে পর্যন্ত দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শুদ্ধি অভিযানে ১ হাজার ১৫৬ জন শিক্ষকের শিক্ষাগত ও যোগ্যতার সনদ ভুয়া পাওয়া গেছে। রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের জাল সনদধারী শিক্ষক রয়েছেন ৪৪৩ জন। এসব শিক্ষককে দেওয়া বেতন-ভাতা ফেরত নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।

নীলফামারী জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ডিআইএ প্রদত্ত জাল সনদে শিক্ষকদের চাকরি নেওয়ার বিষয়টি রাস্তায় চলার পথে কয়েকজনের মুখে শুনেছি। তবে এখনো কোনো নির্দেশনা আসেনি। আমাদের কাছে এ বিষয়ে কোনো তথ্য নেই। ওপর থেকে নির্দেশনা এলে তদন্ত করে প্রতিবেদন পাঠাবো।

পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (ডিআইএ) প্রফেসর অলিউল্লাহ মো. আজমতগীর জাগো নিউজকে বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আমাদের কাছে ১০ বছরের কতগুলো প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন এবং কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তার একটি হিসাব চেয়েছে। আমরা উত্তরে কতগুলো প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেছি তা জানিয়েছি। ডিআইএর পক্ষ থেকে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রতিবেদনে জাল সনদের বিষয়টি উল্লেখ আছে। বিশেষ করে এনটিআরসি সনদ, কম্পিউটার সনদ, গ্রন্থাগার সনদসহ এ রকম কিছু বিষয়ে ওই শিক্ষকদের সনদ ঠিক পাওয়া যায়নি।

এসজে/এমএস