ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

রোগীর পেটে কাঁচি রেখে অস্ত্রোপচার, কারাগারে চিকিৎসক

জেলা প্রতিনিধি | মেহেরপুর | প্রকাশিত: ০৪:০৩ পিএম, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২

রোগীর পেটে কাঁচি রেখে অস্ত্রোপচারের ঘটনায় করা মামলায় মেহেরপুরের গাংনীর রাজা ক্লিনিকের স্বত্বাধিকারী ডা. পারভিয়াস হোসেন রাজার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মেহেরপুর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক তারিক হাসান এ আদেশ দেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এ কে এম শহীদুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ২০০২ সালে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার বাচেনা খাতুন নামে এক গৃহবধূ গাংনীর রাজা ক্লিনিকে পিত্তথলির পাথর অপারেশন করেন। ওই সময় অস্ত্রোপচার করেন চিকিৎসক মিজানুর রহমান। তার সহকারী হিসেবে ছিলেন ডা. পারভিয়াস হোসেন রাজা ও অ্যানেস্থেসিয়া দেন ডা. তাপস কুমার।

অস্ত্রোপচারের এক সপ্তাহ পর বাচেনা খাতুনকে ক্লিনিক থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। কিন্তু পেটে ব্যথা ভালো না হওয়া গত প্রায় ২০ বছর ধরে তিনি বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ঘুরেছেন। অবশেষে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক্স-রে করালে তার পেটে অপারেশনকালে চিকিৎসকের রেখে দেওয়া কাঁচির সন্ধান মেলে। বিষয়টি জানাজানি হলে ডা. রাজা বাচেনাকে চুয়াডাঙ্গা সরকারি হাসপাতালে অপারেশন করে সেই কাঁচি বের করেন।

jagonews24

এদিকে, বিষয়টি নজরে আসলে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তারিক হাসান সপ্রণোদিত হয়ে একটি মামলা করেন এবং মেহেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) অপু সারোয়ারকে ঘটনা তদন্ত করার নির্দেশ দেন। সেইসঙ্গে ঘটনা তদন্তে সিভিল সার্জন ডা. জওয়াহেরুল আনাম সিদ্দিকীকে সার্বিক সহযোগিতা করার জন্য বলা হয়।

অপরদিকে, মেহেরপুর জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকেও ঘটনা তদন্তে গত ৫ জানুযারি গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. আশরাফুজ্জামান লিটনকে প্রধান করে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি ডা. মিজানুর রহমান, ডা. তাপস কুমার ও ডা. পারভিয়াস হোসেন রাজাকে অভিযুক্ত করে প্রতিবেদন জমা দেয়। পরে তাদের এ ঘটনায় করা মামলায় আসামি করা হয়।

রোববার দুপুরে ওই মামলায় অভিযুক্তরা আদালতে জামিন নিতে গেলে আদালত ডা. মিজানুর রহমান ও ডা. তাপস কুমারকে জামিন দিলেও ডা. রাজার জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আসিফ ইকবাল/এমআরআর/জিকেএস