ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

পঞ্চগড়ে দুই স্বতন্ত্র প্রার্থীর বাসভবনে ‘হেলমেট বাহিনীর’ হামলা

জেলা প্রতিনিধি | পঞ্চগড় | প্রকাশিত: ০৩:৩২ পিএম, ১৬ অক্টোবর ২০২২

পঞ্চগড়ে জেলা পরিষদ নির্বাচনে দুই স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর বাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (১৫ অক্টোবর) দিনগত রাতে হেলমেট পরা একদল বাহিনী মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে তাদের বাড়িতে এ হামলা চালায়।

ভুক্তভোগী প্রার্থীরা হলেন আব্দুল হান্নান শেখ ও দেলদার রহামান দিলু। এ ঘটনায় চেযারম্যান প্রার্থী হান্নান শেখের বাড়ির নৈশপ্রহরী আহত হয়েছেন। এ বিষয়ে জেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক, পুলিশ প্রশাসনসহ নির্বাচন কর্মকর্তাকে মৌখিকভাবে অভিযোগ করা হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ।

চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল হান্নান শেখের বাড়ির দারোয়ান আব্দুল হাই বলেন, শনিবার রাতে ৩০-৪০টি মোটরসাইকেলে করে লোকজন এসে আমাদের বাসার দরজায় ধাক্কাধাক্কি এবং লাথি মারতে শুরু করেন। তারা বাইরে থেকে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন। আমি দরজা খুললে তারা আমাকে মারপিট করে চলে যান।

প্রার্থী দেলদার রহমান দিলু বলেন, ‘আমি নির্বাচনের কাজে বাইরে আছি। ঘটনার সময় আমার স্ত্রী শামিমা নাজনীন বাসায় ছিল। সে আমাকে জানায়, মোটরসাইকেলের একটি বহর নিয়ে লোকজন বাসার সামনে এসে উচ্চ শব্দে আমাকে বাড়ি থেকে বের হয়ে আসতে বলেন। এ সময় তারা গালাগালি করেন এবং বাইরের দরজায় ধাক্কাধাক্কি ও লাথালাথি করে চলে যান।’

পঞ্চগড় চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের প্রেসিডেন্ট ও প্রার্থী আব্দুল হান্নান শেখ বলেন, ‘হেলমেট বাহিনী মোটরসাইকেল শোডাউন করে আমার বাসভবন ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও গালিগালাজ করে। তারা আমার দারায়ানের মাথায় আঘাত করেন। এ বিষয়ে আমি জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগ করেছি।’

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবু তোয়বুর রহমান বলেন, ‘নির্বাচনী কাজে দেবীগঞ্জে আছি। আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না।’

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ মিঞা বলেন, দুই প্রার্থীর বাড়ির সামনে দিয়ে মোটরসাইকেলের শোডাউন দেওয়া হয়েছে। খবর পেয়েই দ্রুত আমরা ঘটনাস্থলে যাই। তবে সেখানে কাউকে পাওয়া যায়নি। বর্তমান পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।।

পুলিশ সুপার এস এম সিরাজুল হুদা বলেন, তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে কেউ হয়তো ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছেন বলে আমার মনে হচ্ছে।

জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, পুলিশ সুপার বিষয়টি দেখছেন। যদি এমন কেউ করে থাকেন, তাদের অবশ্যই আইডেন্টিফাই করা হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সফিকুল আলম/এসআর/এএসএম