ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

প্রতিবন্ধী তিন সন্তান নিয়ে দুশ্চিন্তায় মা

জেলা প্রতিনিধি | চাঁপাইনবাবগঞ্জ | প্রকাশিত: ০৭:৩৬ এএম, ২৩ অক্টোবর ২০২২

আব্দুল কাদের, শিখা ও মরিয়ম। তাদের বয়স ২৪, ১৬, ১০। তারা তিনজনই জন্ম থেকে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী। আব্দুল কাদের ও মরিয়মের মানসিক সমস্যা না থাকলেও শিখা মানসিক ভাসাম্যহীন। আর বড় ছেলে আব্দুল কাদের চোখে না দেখেও হয়েছেন কুরআনের হাফেজ। এদিকে অসহায় পরিবারটির ঠিকমতো খাবার জুটছে না।

বলছিলাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার নামোশংকরবাটি এলাকার মাইটলা গ্রামের শরিফুল ইসলাম ও কহিরন বেগম দম্পতির সন্তানদের কথা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সংসারের একমাত্র উপার্জনকারী শরিফুলও নানান রোগে আক্রান্ত হয়ে মানসিক সমস্যয় ভুগছেন। এখন প্রতিবন্ধী তিন সন্তানকে নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন মা কহিরন বেগম। তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তিনি। ছোট মেয়ে মরিয়মের চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে সরকার ও বিত্তবানদের সহায়তা চেয়েছেন কহিরন বেগম।

স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুর রহিম বলেন, শরিফুল ইসলামের চার সন্তানের তিনজনই দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী। বড় ছেলে আব্দুর রহিম চোখে না দেখেও পবিত্র কুরআন মুখস্থ করেছেন। এরা অনেক দুস্থ-অসহায় তাদের দেখার কেউ নেই। মানবেতর জীবন পার করছেন তারা।

jagonews24

আওয়াল হোসেন নামে আরও এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, শরিফুুল ইসলামের ঘরের চালা দিয়ে একটু বৃষ্টি হলেই পানি পড়ে ঘরে। বাড়িতে একমাত্র উপার্জনকারী শরিফুলও এখন মানসিক সমস্যয় ভুগছেন। পরিবারটির কোনো উপার্জনক্ষম ব্যক্তি না থাকায় খেয়ে না খেয়েই দিন যাচ্ছে তাদের।

শরিফুল-কহিরন দম্পতির ছোট মেয়ে মরিয়ম বলেন, জন্মের পর এই পৃথিবীর আলো আমি দেখতে পায়নি। আমার খুব ইচ্ছে করে স্কুলে যাওয়ার। যদি এই দু’চোখে দেখতে পেতাম সবার মতো আমিও পড়ালেখা করতাম। কিন্তু তা আর হলো না।

মা কহিরন বেগম বলেন, গত ২৪ বছর আগে আমার প্রথম সন্তান জন্ম নিয়েছিল দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী হয়ে। নাম রেখেছিলাম আব্দুল কাদের। তাকে অনেক কষ্টে কুরআনের হাফেজ বানিয়েছি। তার পরে ১৬ বছর আগে আরও একটি সন্তান হলো সেও দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী। তার মানসিক সমস্যও রয়েছে। প্রতিদিন এদিক-ওদিক ছোটাছুটি করে। আর ছোট মেয়েটাও দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী। এই তিন প্রতিবন্ধীকে নিয়ে অসহায় হয়ে গেছি আমি। তাদের তিন বেলা খাবার দেওয়ায় আমার পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক উম্মে কুলসুম বলেন, শরিফুল ইসলামের দুই সন্তানকে প্রতিবন্ধী ভাতার আওতাই নিয়ে এসেছি। আর ছোট মেয়েটার কার্ডও প্রক্রিয়াধীন। শিগগিরই আরও একটি কার্ডের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

সোহান মাহমুদ/এমআরএম