পটুয়াখালী জেলা বিএনপি কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুর
বিএনপি কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুড়
পটুয়াখালী জেলা বিএনপি কার্যালয়ে হামলার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় অফিসের মধ্যে থাকা চেয়ারসহ অনান্য সামগ্রী রাস্তায় বের করে ভেঙে ফেলা হয়। বিএনপির নেতাকর্মীদের অভিযোগ, জেলা যুবলীগের সভাপতির নেতৃত্বে সেখানে হামলা চালানো হয়েছে। তবে হামলার বিষয়ে যুবলীগের পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এদিকে বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতামকর্মীরা ফেসবুকে লাইভে হামলার দৃশ্য তুলে ধরেছেন। এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হামলার ভিডিও ভাইরালও হয়েছে।
পটুয়াখালী জেলা বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান টোটন বলেন, আগামী ৫ নভেম্বর বরিশালের মহাসমাবেশ বানচাল করতেই পরিকল্পিতভাবে জেলা যুবলীগের সভাপতির নেতৃত্বে হামলা চালিয়ে অফিস ভাঙচুড় করা হয়। এসময় অফিসে থাকা ব্যনার এবং ফেস্টুন ছিড়ে ফেলা হয়। এর আগে শহরের স্বনির্ভর সড়কে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব শ্নেহাংশু সরকার কুট্টির ব্যবসায়িক কর্যালয়েও হামলা চালানো হয়। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
এদিকে হামলার পরপরই বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিল থেকে দ্রুত এই হামলার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানানো হয়।

মিছিলে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব শ্নেহাংশু সরকার কুট্টি, সাবেক পৌর চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির সদস্য মোস্তাক আহম্মেদ পিনু, জেলা বিএনপি সদস্য অ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান টোটন, জেলা যুবদলের সভাপতি মনিরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক সিপলু খান, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি গাজী আশফাকুর রহমান বিপ্লব সহ শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে পটুয়াখালী জেলা যুবলীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট শহিদুল ইসলামের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
পটুয়াখালী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মনিরুজ্জামান বলেন, কে বা কারা হামলা করেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। হামলার সঙ্গে যেই জড়িত থাকুক না কেন কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
আব্দুস সালাম আরিফ/ইএ