পটুয়াখালী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে ছয় কর্মকর্তার পাঁচ পদই খালি
সারাদেশে খাদ্য ঘাটতি কিংবা আগামী বছরের দুর্ভিক্ষের যে আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে তা মোকাবিলায় প্রতি ইঞ্চি জমিকে আবাদের আওতায় নিয়ে আসার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে সেই নির্দেশনা বাস্তবায়নে প্রধান ভূমিকায় থাকা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ নিজেই দুর্বলতার মধ্যে রয়েছে।
সংস্থাটির পটুয়াখালী জেলা কার্যালয়ে মোট ছয় কর্মকর্তার পদ থাকলেও তার মধ্যে পাঁচটি পদই দীর্ঘদিন খালি রয়েছে। এমনকী বর্তমানে দপ্তর প্রধানের পদও খালি। ফলে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দিয়ে চলছে সার্বিক কার্যক্রম। এমন পরিস্থিতিতে জেলার কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের কার্যক্রম দিনদিন শ্লথ হয়ে পড়ছে। দ্রুত এসব শূন্য পদ পূরণ না করলে জেলার কৃষি ব্যবস্থাপনায় ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
জানা যায়, পটুয়াখালী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে বিসিএস কৃষি ক্যাডারের মঞ্জুরকৃত পাঁচটি পদ থাকলেও তার চারটি দীর্ঘদিন ধরে খালি। পদগুলো হলো- দপ্তর প্রধান বা উপ-পরিচালক, অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (শস্য), অতিরিক্ত উপ-পরিচালক( উদ্ভিদ), অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (উদ্যান)। এছাড়া প্রথম শ্রেণির নন-ক্যাডার হিসেবে কৃষি প্রকৌশলীর একটি পদ থাকলেও সেটি দীর্ঘদিন ধরে খালি রয়েছে।

পটুয়াখালী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা খাইরুল ইসলাম মল্লিক বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালকের দায়িত্বে রয়েছেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দপ্তর প্রধান না থাকায় খায়রুল ইসলাম মল্লিককে অধিকাংশ সময় সরকারের বিভিন্ন সভা-সেমিনারসহ ঢাকায় অধিদপ্তরের সভাগুলোতে অংশ নিতে যেতে হয়। এছাড়া জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন মিটিংসহ জাতীয় অনুষ্ঠানগুলোতে অংশ নিতে হচ্ছে। এতে করে অনেক সময় দিন পেরিয়ে রাতেও তাকে দাপ্তরিক কাজ করতে হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে খায়রুল ইসলাম মল্লিক বলেন, দীর্ঘদিন ধরে অনেকগুলো পদ খালি থাকায় কাজ করতে কিছুটা সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। এরপরও কাজ চালিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি। এ বিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরসহ আমাদের মন্ত্রণালয়কেও প্রতিমাসে অবহিত করছি।
আব্দুস সালাম আরিফ/এমআরআর/এমএস