ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

যশোরে দম্পতি অগ্নিদগ্ধ

প্রকাশিত: ০৯:১৩ এএম, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলায় পারিবারিক কলহের জের ধরে স্ত্রীর আত্মহত্যার চেষ্টা ঠেকাতে গিয়ে করোসিনের আগুনে দম্পতি দগ্ধ হয়েছে। শুক্রবার রাতে ঝিকরগাছা উপজেলার মল্লিকপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

অগ্নিদগ্ধরা হলেন- ওই গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে সুমন হোসেন (৩২) ও তার স্ত্রী মাসুরা বেগম (২৭)। তাদের উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় মাসুরা বেগমকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

অগ্নিদগ্ধের ঘটনায় মাসুরা বেগমের বাবা জাহাবক্স বাদী হয়ে ঝিকরগাছা থানায় জামাই সুমন এবং তার বাবা রফিকুল ইসলাম ও মা কোহিনুর বেগমকে আসামি করে মামলা করেছেন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সুমনকে আটক দেখানো হয়েছে।

যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ইউসুফ আলী বলেন, মেয়েটির শরীরের ৮০ শতাংশ ও ছেলেটির শরীরের ৫০ শতাংশ পুড়ে গেছে। মেয়েটির শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক।

ঝিকরগাছা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা খবির আহমেদ বলেন, দুই বছর আগে উপজেলার মল্লিকপুর গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে সুমন হোসেনের সঙ্গে একই গ্রামের জাহাবক্সের মেয়ে মাসুরা বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে সুমন স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুর বাড়িতে বসবাস করছিলেন। সুমনের পরিবার বিয়ে মেনে নেয়নি। দুই বছর পর পরিবারের লোকজনকে ম্যানেজ করে ৩-৪ দিন আগে তারা বাড়িতে ওঠেন। তাদের রান্না ঘরে থাকতে দেয়া হয়। পরিবারের লোকজনের সঙ্গে ঝগড়া বিবাদ লেগেই ছিল। এক পর্যায়ে শুক্রবার রাত ৯টার দিকে মাসুরা বেগম গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। মাসুরার শরীরের আগুন নেভাতে গিয়ে সুমনের শরীরেও আগুন ধরে যায়। এতে দুজনই দগ্ধ হয়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। মাসুরার শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চিকিৎসক তাকে খুলনা মেডিকেলে রেফার্ড করেছেন।

ওসি মোল্লা খবির আহমেদ আরও বলেন, অগ্নিদগ্ধের ঘটনায় মেয়েটির বাবা জাহাবক্স বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় জামাই সুমন হোসেন এবং তার বাবা রফিকুল ইসলাম ও মা কোহিনুর বেগমকে আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সুমন হোসেনকে আটক দেখানো হয়েছে।

মিলন রহমান/এসএস/এবিএস