ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

ফটিকছড়িতে মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণ : মামলা দায়ের

প্রকাশিত: ০৯:০৯ এএম, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

ফটিকছড়িতে এক মাদ্রাসাছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। দু`দফা ধর্ষণের পর তৃতীয় দফায় ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে মোবাইলে ধারণ করা ছবি ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দেন ধর্ষক জাহিদ। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর বাবা মামলা দায়ের করেন।

উপজেলার জাফত নগর ইউনিয়নের গরীব উল্লাহ মুফতির বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ধর্ষক জাহেদুল  আলম জাহিেকে (৪২) আটক করেছে।

জাফত নগর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) দেলোয়ার হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, পাশাপাশি বাড়ি হওয়ায় স্থানীয় ইয়াবা আসক্ত যুবক জাহিদের কুনজর পড়ে মাদ্রাসা পড়ুয়া তার চাচাতো বোন রিমার (ছদ্ম নাম) উপর। রিমা স্থানীয় মাদ্রাসার ৮ম শ্রেণির ছাত্রী। তার বাবা ইউছুফ একজন দিনমজুর।

মামলার বিবরণের বরাত দিয়ে এসআই দেলোয়ার বলেন, গত ২৩ এবং ২৬ জানুয়ারি জাহিদ রিমাকে দু`দফা ধর্ষণ করেন। চা বানিয়ে দেয়ার কথা বলে তার ঘরে ডেকে নিয়ে এ ঘটনা ঘটায় জাহিদ। এসময় তার নগ্ন ছবি মোবাইলে ধারণ করে রাখেন। এর তৃতীয় দফা ধর্ষণের প্রস্তাব দেয় জাহিদ। কিন্তু রিমা তাতে রাজি না হওয়ায় মোবাইলে ধারণ করা ছবি ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার ভয় দেখান। রিমা এ ঘটনা তার পরিবারকে খুলে বললে এলাকায় তা জানাজানি হয়।

এরপর রিমার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে স্থানীয় চেয়ারম্যান বিষয়টি আপোষ মীমাংসার চেষ্টা করে। তাতে সমস্যা সমাধান না হওয়ায় মঙ্গলবার রিমার বাবা ইউছুফ বাদী হয়ে ফটিকছড়ি থানায় নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ (১) ধারায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
 
স্থানীয় চেয়ারম্যান আবদুল হালিম বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ঘটনাটি স্থানীয়ভাবে মীমাংসার প্রচেষ্টা করা হয়েছিল। তা না হওয়ায় মেয়ের বাবা থানায় মামলা করায় পুলিশ জাহেদকে আটক করেছে। জাহিদ স্থানীয় গরীব উল্লাহ মুফতি বাড়ির আবু জাফর শেটের ছেলে।

জীবন মুছা/এমজেড/এবিএস