মাদারীপুরে আজও দেখা মেলেনি সূর্যের
চুলা জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন এক নারী
মাদারীপুরে এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে সূর্যের দেখা মেলেনি। প্রচণ্ড ঠান্ডা বাতাস আর ঘনকুয়াশায় জনজীবনে নেমে এসেছে দুর্ভোগ। রোববার (৮ জানুয়ারি) সকালে জেলায় ১০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
মাদারীপুর আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, গত ১০ দিনের মধ্য শনিবার (৭ জানুয়ারি) তাপমাত্রা ছিল সবচেয়ে কম ৯ সেলসিয়াসে। এছাড়া বাকি দিনগুলোতে মাদারীপুরে তাপমাত্রা ১১ থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠানামা করেছে।
এদিকে, প্রচণ্ড শীতের কারণে জেলার বেশিরভাগ মানুষকে ঘরের মধ্যেই থাকতে হচ্ছে। রাস্তাঘাট ও দোকানপাট অনেকটা জনশূন্য দেখা গেছে। তবে খেটে খাওয়া মানুষদের পেটের তাগিদে কাজ করতে দেখা যায়। এদিকে, জেলায় ঠান্ডাজনিত রোগ বেড়েছে। শহরের হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে রোগীর চাপ দেখা গেছে।
মাদারীপুর সদর উপজেলার শকুনি এলাকার রিকশাচালক মো. রাজ্জাক বলেন, গত ১০ দিন ধরে সূর্যের দেখা মেলেনি। তাই প্রচণ্ড শীতের মধ্যে রিকশা নিয়ে বের হতে হয়। রিকশা চালালে অনেক বাতাস লাগে। তবুও পেটের দায়ে পরিবারের জন্য রিকশা চালাতে হয়।
মাদারীপুর আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র অবজারভার আব্দুর রহিম সান্টু বলেন, রোববার জেলায় সর্বনিম্ন ১০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগেরদিন শনিবার তাপমাত্রা ছিল ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
মাদারীপুর সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. রিয়াদ মাহমুদ বলেন, এই ঠান্ডায় সবাইকে সর্তক থাকতে হবে। ঠান্ডার জন্য হাসপাতালে রোগীর চাপ বেড়েছে। বিশেষ করে শিশু রোগী বেড়েছে। তাই সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।
মাদারীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাইনউদ্দিন বলেন, এরইমধ্যে কম্বল বিতরণ শুরু করেছি। তালিকা করে কম্বল দেওয়া হচ্ছে।
এমআরআর/জেআইএম