ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

শিশুরাই আমাদের ভবিষ্যৎ : শিক্ষামন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৭:২৭ পিএম, ০৩ মার্চ ২০১৬

শিশুরাই আমাদের ভবিষ্যৎ শিশুরাই আমাদের আগামী দিনের রাষ্ট্রদ্রষ্টা বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। বৃহস্পতিবার সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে চিত্রন উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অথিতির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আজকে এখানকার মধ্যমনি হচ্ছে শিশুরা। তাদেরকে কেন্দ্র করেই এই উৎসব, আমরা তাদেরকে সম্মান জানাতে এসেছি, তাদেরকে উৎসাহিত করতে আমরা এসেছি। তারাই আমাদের ভবিষ্যৎ। আমাদের সামনের দিকে তাকানো উচিত, কিন্তু আমরা পিছনে পড়ে গেছি, শিশুরা সামনে। তাই শিশুরাই আমাদের সবকিছুর কেন্দ্রবিন্দু, তারাই আমাদের ভবিষ্যৎ, আমাদের সাফল্যের প্রতীক।

শিক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, আজকের এ উৎসবে যেসকল অভিভাবকরা এসেছেন, শুভানুধ্যায়ীরা এসেছেন। তাদেরকে দেখে আমরা বুঝতে পারি তাদের আগ্রহ, সেইসাথে সিলেটের সংস্কৃতির চেতনাবোধ দেখে আমরা গর্ববোধ করতে পারি।

তিনি বলেন, আমাদের নতুন প্রজন্মকে দারিদ্রতা, নিরক্ষরতা, দুর্নীতি ও পশ্চাদপদতা থেকে মুক্ত করে একটি আধুনিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই। সে লক্ষ্যে তাদের মধ্যে দেশের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও ইতিহাসকে নিয়ে গৌরববোধ করার চেতনা জাগিয়ে তুলতে হবে।

শিক্ষা ক্ষেত্রে পরিবর্তন প্রসঙ্গে নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, একটি আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা প্রবর্তনে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। শিক্ষার উন্নয়নে নতুন শিক্ষানীতি নির্মাণ করে শিক্ষাব্যবস্থা আধুনিক করতে কাজ করছে সরকার। আগে মেয়েরা শিক্ষা ক্ষেত্রে পিছিয়ে ছিল, বর্তমানে সকল ক্ষেত্রেই ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা এগিয়ে যাচ্ছে।  

এর আগে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে শিশুদের আঁকা চিত্র প্রদর্শনী পরিদর্শন করেন এবং এসময় তিনি শিশুদের নিয়ে এ ধরণের উৎসব আয়োজন করায় চিত্রন চারুশিক্ষালয়কে ধন্যবাদ জানান।

সমাপনী আয়োজনে বিশেষ অতিথি ছিলেন সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আজিজ আহমদ সেলিম, সময় টিভি’র সিলেট অফিস প্রধান ইকরামুল কবির ইকু ও অ্যাডভোকেট আব্বাস উদ্দিন।

এছাড়াও চিত্রন চারুশিক্ষালয়ের উপদেষ্টা সাংবাদিক বিলকিস আক্তার সুমি, চিত্রনের শিক্ষক আফরোজা আক্তার ফাতেমা, গোবিন্দ বর্ধন, কুহেলিকা খানম কলি, পাপলু চক্রবর্তী, শর্মিলী চৌধুরী রিয়া, রত্নদ্বীপ চৌধুরী, জাহিদা খানম রিমা, ধনঞ্জয় চৌধুরী ধ্র“ব, মালিহা সামিহা জামান, মামুন আহমেদ, আফরা ইবনাত খান প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

ছামির মাহমুদ/এসকেডি