প্রবাসীর বাড়িতে মিললো জেলেদের ১৩ বস্তা চাল
প্রবাসীর বাড়ি থেকে সরকারি চাল জব্দ করা হয়
পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলায় বশির নামে মালয়েশিয়া এক প্রবাসীর বাড়ি থেকে জেলেদের জন্য সরকারি বরাদ্দ ১৩ বস্তা (৩০ কেজি ওজনের) চাল জব্দ করেছে উপজেলা প্রশাসন।
মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে এলাকাবাসীর অভিযোগে উপজেলার লতাচাপলী ইউনিয়নের আলীপুর গ্রাম চালগুলো জব্দ করা হয়। তবে যে বাড়ি থেকে চাল জব্দ করা হয়েছে সেই বাড়িতে কোনো লোককে পাও যায়নি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জেলেদের চাল দেওয়ার সময় দুটি গাড়িতে করে ওই প্রবাসীর বাড়িতে ও তার পার্শ্ববর্তী একটি বাড়িতে সরকারি এ চাল নিয়ে আসা হয়। এলাকাবাসী স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও ইউএনওকে খবর দিলে তারা এসে চালগুলো জব্দ করে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রকৃত জেলেরা বারবার চেয়ারম্যান মেম্বারের কাছে গেলেও চাল পাচ্ছেন না। কিন্তু প্রবাসী, ব্যবসায়ী, সচ্ছল ব্যক্তিরা জেলেদের চাল পাচ্ছেন। যারা এ কাজের সঙ্গে জড়িত তাদের দ্রুত বিচারের ব্যবস্থা করা হোক।
লতাচাপলী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আবুল কম্পানি বলেন, ‘আমরা জেলেদের স্লিপ নিয়ে বারবার পরিষদে এলেও চাল দিতে পারি না। কিন্তু এক প্রবাসীর বাড়িতে জেলেদের এতগুলো চাল। এগুলো প্রতিনিয়ত হচ্ছে।’

ওই ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য ইউসুব বলেন, ‘কিছু জনপ্রতিনিধিদের যোগসাজশে চালগুলো পাচার করা হয়। ফলে প্রকৃত জেলেরা তাদের প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আজকে যে চালগুলো পাওয়া গেছে এগুলোর মূল হোতাকে খুঁজে বের করে বিচারের আওতায় আনা হোক।’
লতাচাপলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনসার উদ্দিন মোল্লা জাগো নিউজকে বলেন, আমার পরিষদে যে জেলেদের চাল আসে এগুলোর সঠিক বণ্টন হয়। আর প্রত্যেক কার্ডধারী জেলে চাল পাচ্ছে। চাল নিয়ে এসে যদি কেউ বিক্রি করে তার খবরতো আমার কাছে নেই। এরপরও এতগুলো চাল প্রবাসীর বাড়িতে কীভাবে গেলো খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাহাঙ্গীর হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে বস্তায় সরকারি সিল লাগানো চাল উদ্ধার করা হয়েছে। ১৩টি বস্তায় ৩০ কেজি করে চাল আছে। এ সময় ওই বাড়িতে কেউ ছিল না। চালগুলো ঈদের বিশেষ ভিজিএফ চাল। আপাতত জব্দ করে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আসাদুজ্জামান মিরাজ/এসজে/এমএস