ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

এমসি কলেজে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষ : আহত ১০

প্রকাশিত: ১০:৩১ এএম, ০৭ মার্চ ২০১৬

আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সিলেট এমসি কলেজে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে কয়েক রাউন্ড গুলি বিনিময় হলে দুইজন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ১০জন আহত হন।

সোমবার দুপুরে সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রায়হান চৌধুরী ও সঞ্জয় গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। বেলা ১টা থেকে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার এ ঘটনায় টিলাগড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা গেছে, টিলাগড়স্থ এমসি কলেজে ছাত্রলীগের সঞ্জয়-কামরুল গ্রুপের মধ্যে কিছুদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে। সোমবার জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রায়হান চৌধুরীর অনুসারী নেতাকর্মীরা এমসি কলেজে আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করলে উভয় গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়।

এসময় প্রতিপক্ষের ছোঁড়া গুলিতে সঞ্জয়-কামরুল গ্রুপের রতন গুপ্ত ও শাহীন আহত হন। এছাড়া মুরাদসহ উভয় পক্ষের আরও সাতজন আহত হন। রতন ও শাহীনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদের বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ঘটনার পর থেকে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সঞ্জয়-কামরুল গ্রুপের নেতাকর্মীরা কলেজে অবস্থান নিয়েছে এবং রায়হান গ্রুপের নেতাকর্মীরা টিলাগড় পয়েন্টে অবস্থান করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক কামরুল ইসলাম জানান, দুপুরে রায়হান চৌধুরী ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি পংকজের নেতৃত্বে হান্নান, রাজন, জাকারিয়াসহ বেশ কয়েকজন এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে থাকা রতন, শাহীন ও মুরাদদের উপর অতর্কিত হামলা চালান। এসময় তারাদের ছোড়া গুলি লাগে রতন ও শাহীনের পায়ে। এছাড়া মুরাদসহ আরো দু’জন গুরুতর আহত হন।
 
তবে সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রায়হান চৌধুরীর মুঠো ফোনে একাধিক বার কল দেওয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

সিলেট মহানগর পুলিশের শাহপরান থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিজাম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, এমসি কলেজে সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে ওই এলাকায় পরিস্থিতি শান্ত আছে।

ছামির মাহমুদ/এফএ/পিআর