ঈদ শেষেও লাগামহীন বগুড়ার সবজি বাজার
রমজান ও ঈদ শেষ হলেও বগুড়ার সবজি বাজারে কমেনি উত্তাপ। প্রতিদিনই লাগামহীনভাবে বাড়ছে দাম।
শহরের ফতেহ আলী বাজারে সবজি কিনতে আসেন মোত্তাকিন আলম। দোকানির সঙ্গে দরদাম করছেন। টমেটো ও পটলের দাম ৬০ টাকা কেজি শুনে তিনি স্তম্ভিত। এভাবে একে একে সবজির দাম জিজ্ঞাসা করছেন আর মাথা চুলকাচ্ছেন।
বাজার শেষে তিনি বলেন, দোকানে ক্রেতা নেই। বাজারে মানুষ নেই। এরপরও বিক্রেতারা কোনো সবজির দাম কমাচ্ছেন না। উল্টো বাড়াচ্ছেন। যে টমেটো ঈদের সময়ে কিনেছি ৪০ বা ৫০ টাকা, তা এখন কিনতে হলো ৬০ টাকায়। একইভাবে অন্য সবজির দামও বেড়েছে।

দোকানিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পেঁপে, বেগুন, কচুর লতি, পটল, শিম, বরবটির কেজি ৫০ থেকে ৭০ টাকা। চিচিঙ্গার কেজি ৪০ টাকা, কাঁকরোলের কেজি ৮০ টাকা, গাজরের কেজি মানভেদে দেড়শ টাকা পর্যন্ত। প্রতি পিস লাউ ৬০ থেকে ৭০ টাকা, শসার কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, ঝিঙা ৫০ টাকা, সজনা ৬০/৭০ টাকা, বেগুন ৫০ টাকা, মিষ্টি লাউ ৪০ টাকা, কুমড়া প্রকারভেদে ৩০/৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০/৭০ টাকা কেজি হিসেবে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া আলুর দামও বেড়েছে। আলু ৩৫ থেকে ৩৮ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, এসময় সাধারণত হিমাগারের আলু বের হয় না। কিন্তু অতিরিক্ত দামের কারণে হিমাগারের আলু বের করা হচ্ছে। বাজারে আলুর সংকট থাকায় প্রতিদিনই দাম বাড়ছে।

সবজির দাম বেশি হওয়ার কারণ জানতে চাইলে ব্যবসায়ীরা বলছেন, আলুর দাম বাড়ায় অন্য সবজিতে তার প্রভাব পড়েছে।
দেশের অন্যতম বৃহৎ সবজির পাইকারি মোকাম বগুড়ার মহাস্থানগড় মোকামে আসা কৃষক ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানালেন, হাটে চাহিদা বেশি। এজন্য দাম বাড়ছে।

কৃষক আইনুল বলেন, গত সপ্তাহে এক মণ শসা বিক্রি করেছি এক হাজার টাকায়। আজ বিক্রি করেছি ১২০০ টাকা মণ দরে।
মহাস্থান হাটের আড়তদার ও কাঁচামাল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম বলেন, মৌসুমে এই হাটে গড়ে প্রতিদিন ১০০ ট্রাক সবজি বেচাবিক্রি হয়ে থাকে। এবছর এখনো বাজারে সবজির সরবরাহ স্বাভাবিক আছে। বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে ৩০ থেকে ৩৫ ট্রাক সবজি বিভিন্ন পাইকারি মোকামে পাঠানো হচ্ছে।
এমআরআর/জেআইএম