ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

পুলিশকে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় মামলা, গ্রেফতার ৩৬ মাদক কারবারি

জেলা প্রতিনিধি | ব্রাহ্মণবাড়িয়া | প্রকাশিত: ০৮:৫৫ এএম, ০৭ মে ২০২৩

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলায় মাদক কারবারিদের ছুরিকাঘাতে খাইরুল ইসলাম নামে পুলিশের এক সদস্য আহত হওয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে। আখাউড়া থানার উপ-পরিদর্শক নুপুর কুমার দাস বাদী হয়ে ৫৪ জনকে আসামি করে মামলাটি করেন।

এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩৬ মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার (৬ মে) বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাদের জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। তবে ঘটনার মূলহোতা দুই মাদক কারবারি পলাতক আছেন।

গ্রেপ্তাররা হলেন- হৃদয় (২৫), রুবেল ভূঁইয়া (৪৫), মমিন ভূঁইয়া (৪৩), মঙ্গল মিয়া (৬৩), বাবু (২৫), সোহাগ রানা প্রকাশ বশির (৪২), পারভেজ (৩৮), রুহুল আমিন (২৯), ইয়াসিন সরকার (৩৮), জালু মিয়া (৪৪), সোলেমান (৪০), ইব্রাহিম (৪৫), আউয়াল মিয়া (৫০), আমির খা (৩৫), সবুজ খন্দকার (৩৫), মাসুদ (৩২), আমিনুল ইসলাম (৩২), ওয়াসিম (৩৫), দিপু চৌধুরী (২৩), মামুন মিয়া (২৯), ইকবাল হোসেন, সাইফুল ইসলাম (২৪), রাজ্জাক মিয়া (৪০), ইউনুস (৪৫), রুবেল মিয়া (২৮), আব্দুল কাদের প্রকাশ বাবু (২৩), বোরহান উদ্দিন (২৫), কাপ্তান মিয়া (৫০), মানিক মিয়া (৪২), কিবরিয়া (২৬), আনোয়ার হোসেন (৬২), আলেক মিয়া (৩২), মানিক মিয়া (২৪), শফর আলী ভূঁইয়া (৫০), আনোয়ার হোসেন প্রকাশ আইনাল হক প্রকাশ আনাল পাগলা (৩০) ও মনোয়ারা বেগম (৪২)।

আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাদক কারবারির ছুরিকাঘাতে আহত পুলিশ

আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, শুক্রবার মনিয়ন্দ এলাকায় পুলিশ সদস্যকে ছুরিকাঘাত করা মাদক কারবারিকে আটক করতে ব্যাপক অভিযান পরিচালনা করা হয়৷ এ সময় ৩৬ মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে মাদক মামলা আছে। তবে ছুরিকাঘাত করা মাদক কারবারি সেলিম ও সোহেলকে আটক করা যায়নি। তাদের আটক করতে অভিযান অব্যাহত আছে।

শুক্রবার রাতে আখাউড়া থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাকির হোসেনের নেতৃত্বে উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নে মাদক উদ্ধারে অভিযান চালানো হয়। সেখানে শিবনগর এলাকায় অভিযান পরিচালনা কালে সেলিম ও সোহেল নামের দুই মাদক কারবারিকে আটক করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্য মতে মাদক জব্দের সময় দুজন পুলিশের ওপর হামলা চালানো হয়।

এ সময় পুলিশ কনস্টেবল খাইরুল ইসলামকে ছুরিকাঘাত করে মাদক কারবারিরা পালিয়ে যায়। এতে তিনি মাথায় ও পেটে গুরুতর জখম হন। আহত অবস্থায় পুলিশ সদস্য খায়রুলকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে ঢাকায় পাঠানো হয়।

আবুল হাসনাত মো. রাফি/এসজে/জেআইএম