রাতের আঁধারে বালু দিয়ে জলাশয় ভরাট, এসিল্যান্ডের নির্দেশে অপসারণ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রাতের আঁধারে বালু ফেলে মাছচাষের একটি জলাশয় ভরাট করেন প্রভাবশালীরা। সেই বালু অপসারণ শুরু করেছে প্রশাসন।
বুধবার (২৪ মে) সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোশাররফ হোসেনের উপস্থিতিতে জলাশয় থেকে বালু অপসারণ শুরু হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সদর উপজেলার বড়হরণ রেলগেট এলাকায় বাংলাদেশ রেলওয়ের মালিকানাধীন একটি মাছচাষের জলাশয় রয়েছে। স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জলাশয়টি মাছচাষের জন্য দীর্ঘদিন ধরে ইজারা নিয়ে আসছেন। সম্প্রতি স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী গভীর রাতে বালু ফেলে জলাশয়টি ভরাট করতে থাকেন। জলাশয়ের পাশে সড়কের পানি যাওয়ার কালভার্টটিও ভরাট করে দেন।

জলাশয় ভরাটের প্রতিবাদে গত ৭ মে স্থানীয় বাসিন্দারা মানববন্ধন করেন। পরদিন সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোশারফ হোসাইন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। সেখানে গিয়ে জলাশয় ভরাটকারীদের কাউকে পাওয়া যায়নি। পরে জলাশয় থেকে বালু অপসারণের নির্দেশ দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। একইসঙ্গে ওই বালু নিলামে তোলা হয়। ১৫ হাজার বর্গফুট বালু ৮১ হাজার টাকায় নিলামে বিক্রি হওয়ার পর বুধবার জলাশয় থেকে বালু অপসারণ শুরু হয়েছে।

নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহ আলম বলেন, অবৈধভাবে জলাশয় ভরাট করছিল একটি চক্র। তারা এ জলাশয়ের ওপর দোকান তৈরি করে বিক্রি করতে মানুষের কাছ থেকে অগ্রিম টাকা নিয়েছেন। জলাশয়ের সঙ্গে খালের কালভার্টও ভরাট করা হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্দেশের পর নিলামে বিক্রি করে বালু অপসারণ করা হচ্ছে।
সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোশারফ হোসাইন বলেন, জলাশয়টি বালু দিয়ে ভরাট করে ফেলায় এলাকার পানি চলাচলের একটি নালা বন্ধ হয়ে গেছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই আশপাশে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হবে। এ অবস্থায় বালু অপসারণ করে পানি চলাচলের পথ সুগম করা জরুরি। বালু বিক্রির টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হয়েছে।
আবুল হাসনাত মো. রাফি/এসআর/জিকেএস