ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

বাগেরহাটে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ২০

প্রকাশিত: ০৭:৫২ এএম, ১১ মার্চ ২০১৬

বাগেরহাটের মোল্লাহাটে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই ওর্য়াড সভাপতির মধ্যে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের নারীসহ ২০ জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাতে এক দফা সংঘর্ষের পর শুক্রবার সকালে উভয় পক্ষের লোকজন ধারালো অস্ত্র, লাঠিসোটা নিয়ে সংর্ঘষে লিপ্ত হয়। এ সময় এগারগানের গুলিতে ৭ জন গুলিবিদ্ধ হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

আহতরা হলেন- সফিকুল ইসলাম (২৫), শওকত (৩৫), ফারুক মোল্লা (৫০), মরিয়ম বেগম (৪০), রবিউল মোল্লা (৪০), সফিক মোল্লা (২৬), আরমান শরীফ (৩২), সাহেদ শরীফ (৬৫), মাহাবুব (৩২), সাদ্দাম (২৮), মিরাজ (৩২), আকবর হোসেন (৩০), এমদাদ মোল্লা (৪০), মিরাজ মোল্লা (৪৫), হাফসি বেগম (৩০), আকরাম শেখ (২০), আজাদ মোল্লা (৩২), ইলাহি বিশ্বাস (৩৮), আবুল কালাম আজাদ (৫২), বাবর মোল্লা (২৮), নান্নু মোল্লা (২৮), জালাল মোল্লা (২০), সুখ মিয়া (২৭), নাদের মোল্লা (৩০), মিরাজ শেখ (৩৬), আবু সিদ্দিক (২৫), জামাল শরীফ (৩৫), মিন্টু মুন্সি (৩৫), আব্দুল গাজী (১৬), জাকারিয়া (২৮), টুকু শরীফ (৪৬), লিয়াকত শরীফ (৩৮), সুরমান খান (৫৮) ও আবজাল মোল্লা (৪৭)।

জানা গেছে, উদয়পুর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি সদস্য আসাদুজ্জামান মুকুর সঙ্গে ২ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি সদস্য কামরুল মোল্লার বিরোধকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার রাতে দুজনের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এ ঘটনার সূত্র ধরে এক পক্ষ অন্য পক্ষের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পড়ে। পরে শুক্রবার সকালে আবারও দুই পক্ষ ঢাল সড়কি ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে উত্তর কান্দি এলাকায় সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সময় উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়। গুরুতর আহতদের মধ্যে ১১ জনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পর পুলিশ ওই এলাকায় গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে পুলিশ এ ঘটনায় জড়িত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।

মোল্লাহাট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনম খায়রুল আনাম বলেন, উদয়পুর গ্রামের ২ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য কামরুল ও ১ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আসাদুজামান মকুর মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে পুরনো বিরোধ রয়েছে। সেই বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষ কামরুল মোল্লার চাচাতো ভাই রইস মোল্লা খুলনা থেকে একটি মেয়েকে উদয়পুর গ্রামে নিয়ে আসলে মকুর লোকজন তাদের হাতেনাতে ধরে ফেলে। বৃহস্পতিবার রাতের এ ঘটনা নিয়ে শুক্রবার সকালে মকুর লোকজন মেয়েটিকে পুলিশে দেয়ার কথা বললে ইউপি সদস্য কামরুল ও মকুর সমর্থকরা লাঠিসোটা ও ইটপাটকেল নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হন। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে ফাঁকা গুলি ছুড়ে। এখন সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে বলে তিনি জানান। খুলনা থেকে আসা মেয়েটিকে উদ্ধার করে পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়েছে।

শওকত আলী বাবু/এসএস/পিআর