ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

মাছচাষের পুকুরে বিদ্যুৎ উৎপাদন

জেলা প্রতিনিধি | চাঁপাইনবাবগঞ্জ | প্রকাশিত: ০৫:০৮ পিএম, ১৩ জুন ২০২৩

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরে দুটি পুকুরে চালু হয়েছে দেশের প্রথম ভাসমান সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র। সেখান থেকে ঘণ্টাপ্রতি সর্বোচ্চ ১.৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। জেলার একটি অটো রাইস মিলের চাহিদা পূরণ করে উৎপাদিত বিদ্যুৎ যোগ হচ্ছে জাতীয় গ্রিডে।

সরেজমিন দেখা যায়, পুকুরের ওপরে সারি করে সাজানো হয়েছে সোলার প্যানেল। বাতাস ও ঢেউ সামলাতে সক্ষম ফ্লোটারের ওপরে ভাসছে প্রায় ১৫০০ সোলার প্যানেল। পানিতে চাষ করা হচ্ছে বিভিন্ন জাতের মাছ।

জেলার নবাব অটো রাইস মিলের নবাব মৎস্য খামার প্রকল্পের পুকুরে স্থাপন করা হয়েছে এ ভাসমান সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র। গত ২৯ মে বিকেল থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদন কোম্পানি জুলস পাওয়ার লিমিটেড। ভাসমান এ সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ঘণ্টাপ্রতি সর্বোচ্চ ১.৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রাথমিকভাবে এক বছর সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। এতে মাছচাষের কোনো ক্ষতি না হলে ব্যাপকহারে বাড়ানো হবে এ ধরনের প্রকল্প।

জুলস পাওয়ার লিমিটেডের হেড অব বিজনেস ডেভেলপমেন্ট মো. নাহিদুজ্জামান বলেন, ‘ভাসমান এ সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য ৬ একর আয়তনের একটি জলাশয়ের ৫০ শতাংশ জমি ব্যবহার করা হয়েছে। এখানে যেহেতু মাছচাষ হচ্ছে তাই ফুডগ্রেড প্লাস্টিকের ফ্লোটার ব্যবহার করা হয়েছে যাতে মাছের ক্ষতি না হয়। এর লাইফ টাইম হচ্ছে প্রায় ২৫ বছর। ঝড় কিংবা টর্নেডোর কথা বিবেচনায় অ্যাংকরিং সিস্টেমও এতে রয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘নবাব অটো রাইস মিলে দৈনিক ২ দশমিক ৫ মেগাওয়াট বিদ্যুতের প্রয়োজন হয়। দিনের বেলা সোলার বিদ্যুৎ থেকে চাহিদার প্রায় পুরোটাই সরবরাহ দেওয়া যাবে। আর কারখানায় কোনো কারণে লোড না থাকলে বিদ্যুৎ চলে যাবে জাতীয় গ্রিডে।’

নবাব গ্রুপের চিফ অপারেটিং অফিসার নাহিদ হোসেন বলেন, আমরা এখানে আগে থেকেই রুই, কাতলার মতো দেশি মাছ চাষ করছি। পানির অংশে যেহেতু কোনো স্থাপনা নেই তাই মাছ ধরতেও কোনো সমস্যা হয়নি। আবার চাইলে সৌর প্যানেলগুলো এদিক সেদিন স্থান পরিবর্তনও করা যায়। তাই একসঙ্গে বিদ্যুৎ উৎপাদন ও মাছচাষে কোনো সমস্য হচ্ছে না।

তিনি আরও বলেন, আমাদের প্রতি মাসে প্রায় ৫০ লাখ টাকার বিদ্যুৎ প্রয়োজন হয়। প্রকল্প সফল হলে খরচের ৭০ শতাংশ সাশ্রয় হবে বলে আশা করছি।

জুলস পাওয়ার লিমিটেডের সহকরী ব্যবস্থাপক হাসানুল জামি বলেন, নবাব অটো রাইস মিলের ছাদের ওপর ২২০০ সোলার প্যানেল স্থাপন করা হয়েছে। আর পুকুরে রয়েছে প্রায় ১৫০০ সৌর প্যানেল। প্রকল্পটি দেখভাল ও পর্যবেক্ষণের জন্য এখানে সবসময় আমাদের লোকজন থাকছেন।

আগামী ১২ বছর জুলস পাওয়ার লিমিটেডকে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করবে নবাব অটো রাইস মিল। এরপরের ১৫ বছর সম্পূর্ণ ফ্রিতে বিদ্যুৎ পাবে বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানটি।

সোহান মাহমুদ/এসআর/এএসএম