ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

মেছো বাঘ পিটিয়ে মারলো এলাকাবাসী

জেলা প্রতিনিধি | ঝিনাইদহ | প্রকাশিত: ০৫:৫২ পিএম, ১৩ জুন ২০২৩

ঝিনাইদহ সদরের গোবিন্দপুর গ্রামে একটি মেছো বাঘ পিটিয়ে হত্যা করেছে এলাকাবাসী। বাঘ মারার ঘটনা আশপাশে ছড়িয়ে পড়লে দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ আসছেন মৃত বাঘটি এক নজর দেখতে।

মঙ্গলবার (১৩ জুন) ভোর ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। বর্তমানে বাঘটিকে ওই গ্রামেই রেখেছে এলাকার মানুষ।

ওই গ্রামের বাসিন্দা শিবলু কাজী জানান, রাতে গোবিন্দপুর গ্রামে তার বাড়িতে গোয়াল ঘরে হঠাৎ ছাগল ডেকে ওঠে। সেসময় উঠে কোথাও কিছু না পেয়ে কেন ছাগল ডেকে উঠলো তা খুঁজতে থাকেন তিনি। একপর্যায়ে পাশের বাড়ির নিত্য কুমারের গোয়াল ঘরে একটি ছাগল রক্তাক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। সেসময় নিত্য কুমার ও শিবলু কাজী পাশের একটি বাগানে হিংস্র অবস্থায় দেখতে পান মেছো বাঘটিকে। পরে তারা কোচ (মাছ ধরার বিশেষ যন্ত্র) দিয়ে খুঁচিয়ে ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মেছো বাঘটি হত্যা করেন। এর কিছুক্ষণ পর আহত ছাগলটিও মারা যায়।

তিনি আরও বলেন, খুবই হিংস্র অবস্থায় ছিল মেছো বাঘটি। আমাদের ওপরও আক্রমণ করতে আসে। এজন্য প্রাণীটিকে মেরে ফেলা হয়েছে।

প্রায় এক মাস আগে নারায়ণপুর গ্রামের রহিম মোল্লার একটা ছাগল মেরে ফেলেছিল মেছো বাঘটি। এর আগে কাংড়া গ্রামেও কয়েকটি ছাগল মেরেছে। কিন্তু ধরতে না পারায় এলাকার মানুষ মেছো বাঘটিকে তখন মারতে পারেনি।

jagonews24

শিহাব উদ্দিন জানান, আমি শুনেছি এই এলাকায় একটা বাঘ মারা হয়েছে। এজন্যই প্রায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার দূর থেকে মোটরসাইকেল চালিয়ে বাঘ দেখতে আসলাম।

ঝিনাইদহ বনবিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাকির হোসেন জানান, বন্যপ্রাণী হত্যা করা অপরাধ। তারা মেছোবাঘটি মেরে ঠিক করেনি। ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিদর্শন শেষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এই বন কর্মকর্তা আরও জানান, এই প্রাণীটিকে মেছো বিড়াল বলা হয়। তবে স্থানীয়ভাবে এটি মেছো বাঘ বলে পরিচিত। বর্তমানে নিরাপদ আবাস্থল ও খাবার সংকটে প্রাণীগুলো লোকালয়ে চলে আসছে। তবে এলাকার মানুষ যদি এই মেছো বাঘটি হত্যা না করে বন বিভাগের কাছে সকল তথ্যসহ আবেদন করতো তাহলে ক্ষতিপূরণ পেত।

আব্দুল্লাহ আল মাসুদ/এফএ/এমএস