ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

চাহিদার দ্বিগুণ কোরবানির পশু আছে সিংড়ায়

জেলা প্রতিনিধি | নাটোর | প্রকাশিত: ০২:৩৫ পিএম, ১৭ জুন ২০২৩

আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহায় কোরবানির জন্য নাটোরের সিংড়া উপজেলায় ৯২ হাজার পশু প্রস্তুত করেছেন খামারিরা। উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে পাঠানো যাবে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন হাটে। উপজেলার পৌরসভা ও ১২ ইউনিয়নের প্রায় ৫০০০ হাজার খামারিরা এসব পশু পালন করছেন। এতে প্রায় ২০০ কোটি টাকার কেনা-বেচার সম্ভাবনা আছে বলে জানিয়েছেন তারা।

সংশ্লিষ্টরা জানান, উপজেলায় কোরবানির জন্য ৪৫ হাজার ৫৫০টি পশুর চাহিদা আছে। পশু প্রস্তুত আছে ৯২ হাজার ৫৬৬টি। বাড়তি পশু দেশের অন্যত্র সরবরাহ করা হবে। দাম ভালো পেলে লাভবান হবেন খামারিরা।

প্রতিবছর কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে সিংড়া উপজেলার খামারিরা গরু, ছাগল, ভেড়া ও মহিষ মোটাতাজাকরণে ব্যস্ত থাকেন। এ বছরও কোরবানিকে সামনে রেখে দেশি গরু ও ছাগল মোটাতাজা করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন উপজেলার খামারিরা। বিগত বছরগুলোর মতো এবারও গবাদিপশু লালনপালনকারীরা ভালো দামের প্রত্যাশায় আছেন।

এদিকে কোরবানির পশু নিরাপদ করতে গরু মোটাতাজাকরণে ক্ষতিকর ওষুধ ব্যবহার বন্ধে খামারিদের পরামর্শ ও খামার তদারকি করছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর।

সিংড়া উপজেলায় স্থায়ী ও অস্থায়ী হাটে গবাদিপশু বেচা-কেনা হয়। এসব বাজারে বিভিন্ন স্থান থেকে ব্যাপারীরা এসে গরু কিনে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় নিয়ে বিক্রি করেন। এছাড়া স্থানীয় ব্যাপারীরা এলাকায় কৃষকের বাড়ি বাড়ি গিয়ে গরু কিনে তা বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করে থাকেন। বর্তমানে উপজেলার প্রায় ১০ হাজার মানুষ (খামারি, কৃষক ও বেপারিরা) এ পেশায় আছে।

উপজেলার তেমুখ নয়দাপাড়া গ্রামের অর্ক ডেইরি ফার্মের পরিচালক জাহিদ হাসান বলেন, আমরা দেশীয় পদ্ধতিতে গরু লালনপালন করে থাকি। গম ও ভুট্টা ভাঙা, খড়, ভুসি ও নিয়ম মাফিক নেফিয়ার ঘাস খাওয়ানো হয়। সারাবছর গরু বিক্রি করি। উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর আমাদের সবসময় পরামর্শ ও সহযোগিতা করে থাকে।

পৌরসভার উত্তর দমদমা এলাকার খামারি মোছা. ফাতেমা বেগম বলেন, আমি ২২ বছর ধরে গরু লালনপালন করছি। মোটাতাজাকরণ ওষুধ বা ইঞ্জেকশন ব্যবহার করি না। খামারে ৩৫টি গরু প্রস্তুত করেছি। আশা করছি লাভবান হবো।

পৌরসভার চকসিংড়া মহল্লার খামারি নাজেহাল শাহ বলেন, আমার খামারে চারটি গরু আছে। একবছর আগে এসব গরু কিনেছিলাম। ভালো দাম পাওয়ার আশায় পরিচর্যা করছি। গো-খাদ্যের দাম কিছুটা বেশি। ভারতীয় পশু দেশে না ঢুকতে দিলে, ভালো দাম পাবো বলে আশা করছি।

সিংড়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. কে এম ইফতেখারুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, এ উপজেলায় খামারিরা কোরবানির পশু প্রস্তুত করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। পশুগুলোকে মোটাতাজাকরণের জন্য কোনো ধরনের ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ বা ওষুধ খাওয়ানো হচ্ছে না। সেদিকে আমাদের নজরদারি আছে।

রেজাউল করিম রেজা/এসজে/এমএস