ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

ওজন ৩০ মণ

‘কালো মানিক’র সেবায় দুই শ্রমিক, দিনে খাবার লাগে ১৫০০ টাকার

উপজেলা প্রতিনিধি | শায়েস্তাগঞ্জ (হবিগঞ্জ) | প্রকাশিত: ০৫:৩৪ পিএম, ১৯ জুন ২০২৩

হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে সবার নজর কেড়েছে ৩০ মণ ওজনের ফ্রিজিয়ান জাতের একটি কালো কুচকুচে ষাঁড়। কালো রঙের জন্য নাম রাখা হয়েছে ‘কালো মানিক’। ১৬ লাখ টাকা দাম পেলে এটি বিক্রি করে দেওয়া হবে।

উপজেলার নুরপুর ইউনিয়নের নছরতপুর গ্রামের আব্দুর রহমান কালা মিয়ার ডেইরি খামারে ষাঁড়টি লালন-পালন করা হচ্ছে। বয়স চার বছর। খামার মালিকের দাবি, সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে মোটাতাজা করা হয়েছে ষাঁড়টি।

প্রতিদিন দুই বেলা প্রায় ৫০ কেজি খাবার খায় ‘কালো মানিক’। খাবারের তালিকায় রয়েছে গমের ভুসি, ডালের ভুসি, ধানের গুঁড়া, ফিড, ভুট্টা, খড়, কাঁচা ঘাস। প্রতিদিন গড়ে প্রায় দেড় হাজার টাকার খাবার লাগে কালো মানিকের।

বিশালাকৃতির ষাঁড়টি দেখতে আসা তাজউদ্দিন আহমেদ জসিম ও আবু সুফিয়ান পারভেজ জাগো নিউজকে বলেন, ‘বিশাল আকৃতির কথা শুনে দেখার আগ্রহ হয়েছিল। তাই দেখতে এসেছি। এর আগে এত বড় সাইজের গরু দেখিনি। ছবি তুলে ফেসবুকে দিয়েছি।’

মাসদুয়েক আগে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান খামারের মালিক আব্দুর রহমান কালা মিয়া। এরপর থেকে খামারটির দায়িত্ব নেন তার পুত্রবধূ পারুল আক্তার।

Manik-(2).jpg

আব্দুর রহমান কালা মিয়া ডেইরি ফার্মের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পারুল আক্তার জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমার শ্বশুর খুব শখ করে কালো মানিককে লালন-পালন করেছেন। এর ওজন ৩০ মণ। কালো মানিকসহ আমাদের ফার্মে ৪৫টি গরু রয়েছে। এর মধ্যে কালো মানিকই সব চেয়ে বড় গরু। আমার ধারণা, হবিগঞ্জ জেলার মধ্যে আমাদের কালো মানিকই সবচেয়ে বড় গরু হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিদিন কালো মানিককে ৩-৪ বার গোসল করানো লাগে। খাবার লাগে দেড় হাজার টাকার। তার জন্য রাজশাহী থেকে খাবার নিয়ে আসি। তার পরিচর্যায় দুজন শ্রমিক সবসময়ই লাগে। ১৬ লাখ টাকা দাম পেলে এবার ঈদে বিক্রি করে দেবো।’

শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ইউএলও) কৃষিবিদ নাজিম উদ্দিন বলেন, প্রাণিসম্পদ অফিসের সার্বিক তত্ত্বাবধানে দেশীয় পদ্ধতিতে ষাঁড়টি লালন- পালন করা হয়েছে। আশা করছি খামারি কাঙ্ক্ষিত দামে এটি বিক্রি করতে পারবেন।

কামরুজ্জামান আল রিয়াদ/এসআর/এমএস