ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

বকেয়াসহ ৭ দাবি

ইউএনও অফিস ঘেরাও করে চা শ্রমিকদের আন্দোলন

জেলা প্রতিনিধি | হবিগঞ্জ | প্রকাশিত: ০৯:৫৩ পিএম, ০৫ জুলাই ২০২৩

বকেয়া মজুরি-বোনাস, উৎসব ভাতা, ভবিষ্যৎ তহবিলের টাকা, চিকিৎসা, স্থায়ী বাসস্থান নিশ্চিত করণসহ সাত দফা দাবিতে এবার হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় ঘেরাও করে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন চা শ্রমিকরা।

বুধবার (৫ জুলাই) বিকেলে উপজেলা পরিষদ চত্বরে এ মানববন্ধন পালন করেন ইমাম ও বাওয়ানী চা বাগানের শ্রমিকরা। এ সময় তাদের দাবি না মানলে কর্মবিরতি অব্যাহত রেখে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।

শ্রমিকদের অভিযোগ, উপজেলার পানিউমদা ইউনিয়নের ইমাম ও বাওয়ানী চা বাগানে ৩৬০ জন শ্রমিক আছেন। চা বাগান মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ চা সংসদ ও বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের মধ্যে সম্পাদিত শ্রম চুক্তি মোতাবেক শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি বা এরিয়ার অর্থ বাবদ ২০১৯-২০ ও ২০২১-২২ অর্থবছরের বকেয়া ৮১ লাখ ৫৯ হাজার টাকা, এরিয়া বোনাসের ১৪ লাখ ৪৭ হাজার টাকা, চা বাগান শ্রমিক ভবিষ্যৎ তহবিলের (পিএফ) ৫৫ লাখ ৮৯ হাজার টাকা মালিক পক্ষ পিএফ কার্যালয়ে জমা দেননি। ফলে অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিকরা পিএফ অর্থ পাচ্ছেন না।
এছাড়া চা শ্রমিকদের রোদ বৃষ্টিতে বাসস্থানে অবস্থান করতে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। ডাক্তার না থাকায় চিকিৎসা সেবা থেকেও বঞ্চিত তারা।

২৫ জুন চা শ্রমিকদের সাত দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য ইমাম টি এস্টেট লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে লিখিত জানিয়েছেন চা শ্রমিকরা। মালিকপক্ষ সাড়া না দেওয়ায় ৩ জুলাই থেকে কর্মবিরতি পালন করছেন তারা।

চা শ্রমিক ইউনিয়ন বালিশিরা ভ্যালির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শুভাশিষ দাশ জাগো নিউজকে বলেন, চা শ্রমিকদের দাবি মেনে নেওয়ার জন্য প্রথমে বাগান কর্তৃপক্ষসহ সবাইকে আমরা চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানাই। কিন্তু দাবি না মানায় আমরা প্রথমে মহাসড়ক ও আজকে ইউএনও অফিস ঘেরাও করে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছি। দাবি না মানলে আরও বৃহৎ আন্দোলনে যাবো।

ইমাম টি এস্টেট লিমিটেডের চেয়ারম্যান মাঈন উদ্দিন চৌধুরী জাগো নিউজকে বলেন, আমি শুরু থেকে বলে আসছি এরিয়া অর্থ, বোনাস ও পিএফের টাকা ১৫ জুলাই থেকে পর্যায়ক্রমে পরিশোধ করা হবে। তবে চা শ্রমিকদের নিয়মিত বেতনসহ যাবতীয় সুযোগ সুবিধা অব্যাহত হচ্ছে।

সৈয়দ এখলাছুর রহমান খোকন/এসজে/জেআইএম