ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

‘মৃত্তিকা তুমি আমার বিশ্বাসটা একদম শেষ করে দিয়েছো’

জেলা প্রতিনিধি | চাঁপাইনবাবগঞ্জ | প্রকাশিত: ০২:৪৯ পিএম, ১৭ জুলাই ২০২৩

চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রেমিকার ওড়না পেঁচিয়ে ফাহিম ফয়সাল (১৮) নামের এক কলেজছাত্র আত্মহত্যা করেছেন। এর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন তিনি।

রোববার (১৬ জুলাই) দিনগত রাতে ছাত্রাবাস থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

ফাহিম ফয়সাল নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার পারকালো গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের কম্পিউটার বিভাগের পঞ্চম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন জানান, প্রেমঘটিত কারণে ছাত্রাবাসের একটি কক্ষের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন ফাহিম। ছাত্রাবাসের শিক্ষার্থীরা ৯৯৯ নম্বরে কল দিয়ে পুলিশকে জানালে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

আরও পড়ুন: চিরকুটে চারজনকে দায়ী করে কলেজছাত্রের আত্মহত্যা

ফাঁস দেওয়ার আগে ওই শিক্ষার্থী ফেসবুকে লিখেন, ‘যে আমি মৃত্যুকে ভীষণ ভয় পেতাম, সেই আমি আজ আত্মহত্যা করার সিদ্ধান্ত নিলাম। মন থেকে সত্যি তোমাকে অনেক ভালোবেসে ছিলাম।’

সেখানে তিনি লিখেন, ‘কিন্তু কালকে রাতের পর থেকে আমি আর এসব মেনে নিতে পারছি না। আমাকে এতো বড় মিথ্যা না বললেও পারতে তুমি। মৃত্তিকা তুমি আমার বিশ্বাসটা একদম শেষ করে দিয়েছো। আর বিশ্বাস ছাড়া বেঁচে থাকাটা সম্ভব না। তোমার মনে আছে আমাকে তোমার ব্যবহার করা একটা ওড়না দিয়েছিলে। আমি সে ওড়নাতেই আজ ফাঁসি নিচ্ছি। আমাকে সব সময় ঠকিয়ে এসেছো তুমি যা আমি বুঝেও বুঝতে দেই নাই। তুমি আমার সত্যি ভালোবাসাটা নষ্ট করে দিয়েছো। বেঁচে থাকলে হয়তো কখনো বা কখনো তোমার মুখটা আমার দেখতে হবে। তাই আমি আর বাঁচতে চাই না। তুমি সব সময় ভালো থেকো।’

ফাহিম আরও লিখেন, ‘পরিবারের প্রতি আমার অনেক দায়িত্ব ছিল। তাদের অনেক স্বপ্ন ছিল আমি ব্যর্থ সেই স্বপ্নগুলো পূরণ করতে। -আম্মু পারলে আমাকে মাফ করে দিও। তোমার ছেলেটা এভাবে চলে যেতে চায়নি কখনো। ইচ্ছে ছিল বড় কিছু হয়ে তোমার ইচ্ছা পূরণ করার।’

‘মৃত্তিকা তুমি আমার বিশ্বাসটা একদম শেষ করে দিয়েছো’

পোস্টে ওই কলেজছাত্র আরও লিখেন, ‘তোমাদের অনেক সম্মান নষ্ট করেছি। আমার জন্য আর কারো কাছ থেকে তোমাদের খারাপ কথা শুনতে হবে না। আম্মু সত্যি তোমার ছেলে এতটা খারাপ ছিল না। সময় মত ওষুধগুলো খেও। আমি জানি এটা মহাপাপ। তাও আমি এটা করতে বাধ্য হচ্ছি। কেউ আমার ব্যবহারে কষ্ট পেয়ে থাকলে মাফ করে দিয়েন। শুধু বিশ্বাস ভাঙলে বেঁচে থাকাটা আর সম্ভব হয়ে উঠে না। চোখে রঙিন স্বপ্ন নিয়ে বিদায় নিচ্ছি।’

সোহান মাহমুদ/আরএইচ/জেআইএম