একই সময়ে বিএনপি-আওয়ামী লীগের কর্মসূচি, ভোগান্তি

দিনাজপুরে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের পাল্টাপাল্টি সমাবেশের ডাকে যানবাহন কমেছে। এতে করে দুর্ভোগে পড়েছেন মানুষ। বুধবার (১৯ জুলাই) বিকেল ৫টায় শহরের বাসুনিয়াপট্টি এলাকায় আওয়ামী লীগ ও ইনস্টিটিউট মাঠ প্রাঙ্গণে বিএনপি সমাবেশের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সেখানে তারা মঞ্চ তৈরি করেছে।

একই সময়ে আওয়ামী লীগ-বিএনপির কর্মসূচির কারণে অঘোষিতভাবে আন্তঃজেলার যাত্রীবাহী সব ধরনের যানবাহন চলাচল কমে গেছে। এতে করে সাধারণ মানুষ দুর্ভোগে পড়েছে।

আওয়ামী লীগের কর্মসূটিতে কোনো কেন্দ্রীয় নেতা না আসলেও বিএনপির কর্মসূচিতে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা অংশগ্রহণ করবেন বলে জানা গেছে।

জেলা পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুই দলের জন্য এলাকা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে দুই রাজনৈতিক দলই তাদের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।

এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলতাফুজ্জামান মিতা বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করব। বিকেলে নির্ধারিত স্থানে বাসুনিয়াপট্টি দলীয় কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি শুরু হবে। দিনাজপুরের ১৩টি উপজেলা থেকে নেতাকর্মীরা কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকবেন।’

আরও পড়ুন: বিএনপি-আওয়ামী লীগের কর্মসূচি

বিএনপির নেতাকর্মীরা জানান, রংপুর বিভাগের আট জেলা থেকে হাজারো নেতাকর্মী দলটির কর্মসূচিতে যোগদানের জন্য দিনাজপুরে অবস্থান করছে। বিকেল ৩টা থেকে দিনাজপুর ইনস্টিটিউট থেকে পদযাত্রা কর্মসূচি শুরু হয়ে দিনাজপুর শহরের লিলিমোড়, স্টেশন রোড, পৌরসভা মোড়, সদর হাসপাতাল মোড়, নিমতলা, মডার্ন মোড় হয়ে আবার দিনাজপুর ইনস্টিটিউটে গিয়ে শেষ হবে।

পুরো শহর জুড়ে অর্ধশতাধিক মাইক লাগানো হয়েছে। তবে প্রচারণায় পুলিশি বাধার শিকার হওয়ার কথা জানিয়েছেন দিনাজপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ও দিনাজপুর সদর উপজেলার সাবেক চেয়্যারম্যান অ্যাডভোকেট মোফাজ্জল হোসেন দুলাল। তিনি বলেন, মঙ্গলবার বিকেলে শহরে বিএনপির দুই নেতাকর্মীকে আটক করা হয়।

অভিযোগের বিষয়ে দিনাজপুরের পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ বলেন, ‘প্রচারণায় বাধা দেওয়ার বিষয়টি ঠিক নয়। তবে কর্মসূচির দুদিন আগেই তারা শহরে বেপরোয়াভাবে মোটরসাইকেল বহর নিয়ে ঘুরোঘুরি করছিল। এতে ছোট এ শহরে জনগণের সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে।

এদিকে বুধবার সকাল ১১টা থেকে আন্তঃজেলার সড়ক মহাসড়কে যানবাহন চলাচল কমে গেছে। দূরপাল্লার যাত্রীরা পড়েছেন দুর্ভোগে। শিক্ষার্থীরাও পড়েছে বিড়ম্বনায়।

এমদাদুল হক মিলন/আরএইচ/জেআইএম