ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

মেয়েকে হত্যার পর মেঝেতে মাটিচাপা, মায়ের স্বীকারোক্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৮:৩২ পিএম, ২৩ জুলাই ২০২৩

বগুড়ার ধুনটে মর্জিনা খাতুন (৩৫) নামের এক পোশাক শ্রমিককে মাটিচাপা দেওয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে। পুলিশের কাছে এ হত্যার দায় স্বীকার করেছেন মর্জিনার মা রওশন আরা (৫৫)। তার দেওয়া তথ্যমতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি কোদাল জব্দ করা হয়।

রোববার (২৩ জুলাই) সকালে ময়নাতদন্তের জন্য মর্জিনার মরদেহ বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে শনিবার বিকেলে উপজেলার চান্দারপাড়া গ্রামে ঘরের মেঝের প্রায় ছয় ফুট মাটির নিচ থেকে মর্জিনার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় শনিবার মধ্যরাতে ধুনট পৌরসভার মেয়র এজিএম বাদশাহ্ বাদী হয়ে মামলা করেছেন।

পুলিশ জানায়, মর্জিনা চান্দারপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফের মেয়ে। তার পর পর পাঁচটি বিয়ে হলেও কোথাও তার সংসার করা হয়নি। স্বামী পরিত্যক্তা হয়ে মা রওশন আরার কাছেই বসবাস করতেন। একই পরিবারে মর্জিনার ছেলে রাব্বি ইসলাম (২০) ও ছেলে বউ নুপুর খাতুন (১৮) থাকেন। তাদের অভাব অনটনের সংসার। নানা বিষয় নিয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মর্জিনার ঝগড়া-বিবাদ হতো।

আরও পড়ুন: ঘরের মেঝেতে পুঁতে রাখা মেয়ের মরদেহ উদ্ধার, মা আটক 

এ অবস্থায় ৩০ জুন রাতে মর্জিনাকে গলায় রশি পেঁচিয়ে হত্যা করে রওশন আরা, ছেলে রাব্বি ও ছেলে বউ নুপুর। হত্যার পর ঘরের মেঝেতে কোদাল দিয়ে প্রায় ৬ ফুট গর্ত করে মর্জিনার ভাই রাব্বি। এরপর ওই গর্তে মর্জিনার মরদেহ মাটিচাপা দিয়ে রাখে তারা। পরদিন ঘরে তালা লাগিয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান সবাই। ওই ঘর থেকে দুর্গন্ধ বের হলে ২০ জুলাই স্থানীয়রা থানায় খবর দেয়।

২২ জুলাই রওশন আরাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। এ সময় রওশন আরার দেওয়া তথ্যমতে ঘরের মেঝের মাটির নিচ থেকে মর্জিনার মরদেহ উদ্ধার করে। ঘটনার পর থেকে নিহত মর্জিনার ছেলে রাব্বি ও ছেলে বউ পলাতক।

ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম বলেন, মর্জিনাকে হত্যার দায় স্বীকার করেছে তার মা রওশন আরা। তার দেওয়া তথ্যমতে মর্জিনার মরদেহ উদ্ধার ও হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃতে একটি কোদাল জব্দ করা হয়েছে।

আরএইচ/জিকেএস