ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

মুন্সিগঞ্জে গ্রেফতার তিন জঙ্গি ৫ দিনের রিমান্ডে

জেলা প্রতিনিধি | মুন্সিগঞ্জ | প্রকাশিত: ০৪:১১ পিএম, ২৬ জুলাই ২০২৩

মুন্সিগঞ্জে জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফীল হিন্দাল শারক্বীয়ার আমির আনিসুর রহমানসহ তিন সদস্যের পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বুধবার (২৬ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে শুনানি শেষে মুন্সিগঞ্জ আমলি আদালত-৬ এর বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নাজনিন আক্তার এ আদেশ দেন।

jagonews24

অপর দুই জঙ্গি সদস্য হলেন কাজী সিরাজ উদ্দিন ও মাহফুজুর রহমান ওরফে বিজয়।

মুন্সিগঞ্জ কোর্ট পুলিশের ইনচার্জ জামাল উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, তিনজনের বিরুদ্ধে লৌহজং থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলা করে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) তাদের আদালতে সোপর্দ করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা লৌহজং থানার পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম। শুনানি নিয়ে আদালত পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন এবং আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আরও পড়ুন: মুন্সিগঞ্জে গ্রেফতার তিন জঙ্গি কারাগারে, রিমান্ড শুনানি বুধবার

রোববার (২৩ জুলাই) দিনগত রাতে মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার বড় নওপাড়া এলাকা থেকে ‘জামাতুল আনসার ফীল হিন্দাল শারক্বীয়া’র তিন সদস্যকে গ্রেফতার করে র‍্যাব। এসময় তাদের কাছ থেকে দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র, বোমা তৈরির সরঞ্জাম, উগ্রবাদী পুস্তিকা ও নগদ অর্থ উদ্ধার করা হয়। পরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‍্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়।

jagonews24

র‍্যাব জানায়, আমির আনিসুর রহমান জামাতুল আনসার প্রতিষ্ঠার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। মাদরাসা থেকে দাওরায়ে হাদিস পড়া শেষ করে তিনি কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানা এলাকার একটি সিএনজি স্টেশনে ব্যবস্থাপক হিসেবে চাকরি করতেন। এর আগে হরকাতুল জিহাদের (হুজি) সদস্য ছিলেন। চাকরি করার সময় কুমিল্লার একটি খাবারের দোকানে জামাতুল আনসারের আমির মাইনুল ইসলাম (রক্সি) ও ফেলানি নামের দুই সদস্যের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। ২০২১ সালে মাইনুল গ্রেফতার হলে আনিসুর আমির হন। 

র‍্যাব আরও জানায়, পার্বত্য অঞ্চলে অবস্থানের সময় আনিসুরের সঙ্গে পাহাড়ি সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সদস্যদের পরিচয় হয়। সেই সূত্র ধরে কেএনএফের ছত্রচ্ছায়ায় বান্দরবানের পাহাড়ে জামাতুল আনসারের সদস্যদের সশস্ত্র প্রশিক্ষণ দেওয়ার বিষয়ে চুক্তি হয়। আনিসুরের নির্দেশনায় জামাতুল আনসারের জন্য কেএনএফের কাছ থেকে ১৭ লাখ টাকার বিভিন্ন ধরনের ভারী অস্ত্র ও বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র কেনা হয়। এসব অস্ত্র জঙ্গিদের প্রশিক্ষণে ব্যবহৃত হচ্ছিল।

আরাফাত রায়হান সাকিব/এসআর/জিকেএস