ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

উপকূলে মুষলধারে বৃষ্টি, নিম্নআয়ের মানুষের ছাতা কেনার হিড়িক

আসাদুজ্জামান মিরাজ | কলাপাড়া (পটুয়াখালী) | প্রকাশিত: ০২:৫৫ পিএম, ০৭ আগস্ট ২০২৩

উপকূলীয় জেলা পটুয়াখালীর কলাপাড়ার কুয়াকাটায় গত কয়েকদিন ধরে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন নিম্নআয়ের মানুষ। জীবন জীবিকার সন্ধানে বৃষ্টির মধ্যেও কর্মস্থলে যেতে হচ্ছে। তাই ছাতার দোকানে ভিড় করছেন তারা। ছাতা, রেইনকোট, পলিথিন যে যা পারছেন নিয়ে বের হচ্ছেন গন্তব্যে।

আবহাওয়া অফিসের দেওয়া তথ্য মতে, সোমবার ভোর ৬টা পর্যন্ত ৩১৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। এ কারণে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়েছে বিভিন্ন ফসল, তলিয়ে গেছে মাছের ঘের, বন্ধ হয়ে গেছে নিম্ন আয়ের মানুষের রোজগার। গত চার-পাঁচদিন বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় মানুষ যে যেভাবে পারছেন বেরিয়ে পড়ছেন।

jagonews24

আরও পড়ুন: রাতের বৃষ্টিতেই মাদারীপুর পৌরশহরে জলাবদ্ধতা

আ. সত্তার নামে এক ভ্যানচালক জাগো নিউজকে বলেন, বিভিন্ন দোকানের মালামাল পৌঁছে দেই। কিন্তু বৃষ্টির কারণে দুদিন ধরে বাড়িতে বসা আমি। আজ দোকানিরা বলছেন মাল দরকার তাই চলে এসেছি। অনেক বৃষ্টি হচ্ছে, বাধ্য একটা ছাতা কিনেছি। ছাতা কেনার টাকাটাই এখন অতিরিক্ত খরচ। আমাদের ভোগান্তির শেষ নেই।

আবুল সুকানি নামে এক দোকানি বলেন, আমি চালের ব্যবসা করি। দু-তিন দিন অতিরিক্ত বৃষ্টি হওয়ায় দোকান বন্ধ ছিল। আজ একটা ছাতা কিনতে এসেছি। এটা নিয়ে দোকানে যাবো।

jagonews24

কুয়াকাটায় ইমন স্টোরের মালিক এসাহাক হাওলাদার বলেন, আমি সারা বছরই ছাতা বিক্রি করি। গত দুদিনে অনেক ছাতা বিক্রি করেছি। এখন শেষ পর্যায়ে। সবচেয়ে বেশি ছাতা কিনতে আসছেন নিম্নয়ের মানুষ, ভ্যানচালক।

আরও পড়ুন: পানির নিচে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রেললাইন, ঝুঁকি নিয়ে চলাচল 

এদিকে বৃষ্টির কারণে দু-তিন দিন ধরে কুয়াকাটায় আগত পর্যটকরা হোটেলেই অবস্থান করতে বাধ্য হচ্ছেন। বৈরী আবহাওয়ায় পুলিশ সৈকতে নামতে নিষেধ করলেও কিছু পর্যটক উল্লাস করছেন।

https://cdn.jagonews24.com/media/imgAllNew/BG/2023March/img-20230807-14301862-20230807145515.jpg

কলাপাড়া উপজেলা আবহাওয়া কর্মকর্তা মো. ফিরোজ মিয়া জাগো নিউজকে বলেন, আজ ভোর ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় কলাপাড়ায় ৩১৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। ভোর ৬টা থেকে এখন পর্যন্ত ৫৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়। এ অবস্থা আরও দু-তিন দিন অব্যাহত থাকতে পারে।

এসজে/জিকেএস