ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

নালা বন্ধ করে বাড়ি নির্মাণ, জলাবদ্ধ ৭০০ একর ফসলি জমি

জেলা প্রতিনিধি | কুড়িগ্রাম | প্রকাশিত: ০৯:১১ পিএম, ১৭ আগস্ট ২০২৩

কুড়িগ্রাম জেলা শহরের ঘোগাদহ ইউনিয়নে প্রবাহমান পানির ক্যানেল বন্ধ করায় প্রায় ৭০০ একর জমিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে আশপাশের ১২ গ্রামের প্রায় ২ হাজার কৃষক ফসল নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। গত ৩ মাস ধরে বৃষ্টির পানি জমে থাকায় এসব জমিতে আমন ধানসহ বিভিন্ন সবজি আবাদ করতে না পেরে বিপাকে পড়েছেন তারা।

পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন এসব কৃষকরা। স্থায়ী সমাধানে বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তারা।

জানা গেছে, কুড়িগ্রাম সদরের ঘোগাদহ ইউনিয়নের কাজলদহপাড়, রসুলপুর, শান্তির ভিটা, জেলে পাড়া, নাপিত পাড়া, বাঁশ বাড়িসহ ১২টি গ্রামের প্রায় দুই হাজার কৃষকের আবাদি জমিতে জলাবদ্ধতার কারণে ফসলের ক্ষতি হচ্ছে। এখানে প্রায় দেড়শো বছর আগে থেকে যে নালা দিয়ে ওই জমিগুলোর পানি নেমে নদীতে যেতো সেই নালা ভরাট করে দিয়েছেন স্থানীয় কৃষক মো. এরশাদুল হক। তিনি দীর্ঘদিনের পানি নিষ্কাশনের রাস্তাটি বন্ধ করে বাড়ি নির্মাণ করায় চলতি মৌসুমের বৃষ্টির পানি নামতে না পারায় প্রায় ৭০০ একর জমিতে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে।

নালা বন্ধ করে বাড়ি নির্মাণ, জলাবদ্ধ ৭০০ একর ফসলি জমি

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক জোবেদ আলী বলেন, আমার ১৫ বিঘা জমি আছে এই বিলে। ২ মাস থেকে বৃষ্টির পানি আটকে আছে। জমিতে কোনোকিছু আবাদ করতে পারছি না।

কৃষক আশরাফুল ইসলাম বলেন, আমার ১ বিঘা জমিতে আমন ধানের চারা রোপণ করেছিলাম। আগের নালা বন্ধ করায় জমি থেকে বৃষ্টির পানি বের হতে পারেনি। আমার মতো অনেক মানুষের ধানের চারা পচে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

নালা বন্ধ করে বাড়ি নির্মাণ, জলাবদ্ধ ৭০০ একর ফসলি জমি

তবে নালা বন্ধকারী মো. এরশাদুল হক বলেন, আমি কয়েক মাস আগে ওখানে একটা জমি কিনেছিলাম। আমার বাড়ির সামনে যে ক্যানেলটি চলে গেছে সেটি ঝুঁকিপূর্ণ। এটির কারণে আমার বাড়ি ভাঙনের হুমকিতে ছিলো। এ কারণে বন্ধ করেছি। আমি আমার বাড়ির পাশ দিয়ে নতুন করে ক্যানেল করার জন্য জায়গা দিয়েছি। দুদিন আগে একটি নালা খুঁড়ে পানি বের করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখন পানি নামছে।

ঘোগাদহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল মালেক বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। পানি নিষ্কাশনের জন্য এরশাদুল হক তার বাড়ির পাশে আরেকটি জায়গা দিয়েছেন। সেখানে অস্থায়ী নালা করা হয়েছে সেখান দিয়ে আপাতত পানি নামছে। আমরা স্থায়ী সমাধানের চেষ্টা করছি।

ফজলুল করিম ফারাজী/এফএ/জেআইএম