বগুড়ায় স্ত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার, স্বামী আটক
বগুড়ার কাহালুতে সানজিদা আক্তার ওরফে রুমি নামের এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে তার স্বামী মো. জুয়েলকে (২৫) আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার পাইকড় ইউনিয়নের পিড়াপাট গ্রাম থেকে সানজিদা আক্তারের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই এমদাদুল হক বাদী হয়ে কাহালু থানায় অভিযোগ করেছেন।
নিহত সানজিদা আক্তার রুমি সদর উপজেলার দাঁড়িয়াল গ্রামের সেকেন্দার আলীর মেয়ে।
অভিযুক্ত জুয়েল উপজেলার পাইকড় ইউনিয়নের পিড়াপাট গ্রামের সাহিদুল ইসলামের ছেলে। তিনি পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি।
পাইকড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিটু চৌধুরী বলেন, বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) রাতে সানজিদা ও জুয়েল একই ঘরে ছিলেন। রাতে ওই গৃহবধূকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। কারণ সকালে যখন গলায় ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগানো সানজিদার মরদেহ পাওয়া যায়, তখন স্বামী ও শাশুড়ি পালিয়ে গিয়েছিলেন। এ বিষয়টি পুরোটাই সন্দেহজনক।
পুলিশ জানায়, প্রায় ১০ মাস আগে জুয়েল ও সানজিদার বিয়ে হয়। বৃহস্পতিবার স্বামী-স্ত্রী মিলে ৫০ হাজার টাকার ঋণ তুলেছিলেন। সেই টাকার কিছু অংশ সানজিদার শাশুড়ি ও স্বামী খরচ করেন। এ নিয়ে রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। ঝগড়ার শব্দ আশপাশের মানুষজন শুনেছেন। পরে সকালে ঘরের ভেতর সানজিদার গলায় ফাঁস দেওয়া মরদেহ পাওয়া যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। কিন্তু এর আগেই জুয়েল পালিয়ে যান। পরে স্থানীয়দের তথ্যের ভিত্তিতে তাকে আটক করা হয়।
এ বিষয়ে কাহালু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ হাসান বলেন, সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির সময় নিহতের গলায় ফাঁসের দাগ রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। আটক স্বামী জুয়েলের কথার মধ্যে অনেক অসঙ্গতি রয়েছে। তারা পুলিশ আসার আগেই মরদেহ নামিয়ে ফেলেছিলেন। এটিও সন্দেহ করার আরও একটি কারণ।
ওসি আরও বলেন, এ ঘটনায় জুয়েলকে গ্রেফতার দেখিয়ে শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) সকালে আদালতে পাঠানো হবে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে তাকে কিভাবে হত্যা করা হয়েছে সে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।
এসআর/জেডএইচ/