ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

নির্ধারিত মূল্যে মিলছে না এলপিজি সিলিন্ডার

উপজেলা প্রতিনিধি | রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) | প্রকাশিত: ০৬:২৮ পিএম, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে অতিরিক্ত মূল্যে বিক্রি হচ্ছে এলপিজি সিলিন্ডার। ১২ কেজির একেকটি সিলিন্ডার ২০০-৩০০ টাকা বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে। এতে করে আর্থিকভাবে ক্ষতির শিকার হচ্ছেন ভোক্তারা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সরকার ভোক্তা পর্যায়ে ৩৫ কেজির সিলিন্ডার তিন হাজার ৩২৪ টাকা, ১২ কেজির সিলিন্ডার এত হাজার ১৪০ টাকা বাড়িয়েছে। কিন্তু উপজেলার কোথাও এ দামে গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি হচ্ছে না। কোথাও কোথাও ২০০-৩০০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।

আরও পড়ুন: নির্ধারিত দামে মিলছে না এলপিজি সিলিন্ডার

বাজার ঘুরে দেখা যায়, ফ্রেস, আই গ্যাস, ইউনি গ্যাস, পেট্রোমেক্স, বিএম, লাফস, অরিয়ন, যমুনা এক হাজার ৩৫০ টাকা থেকে ১৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বসুন্ধরা এক হাজার ৫৫০ টাকা থেকে ১৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বসুন্ধরা এলপিজি ১২ কেজির সিলিন্ডার ১ হাজার ৫৫০ থেকে ১৬০০ টাকা, বেক্সিমকো ও ওমেরা ১২ কেজির সিলিন্ডার ১৪৫০-১৫৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সিলিন্ডার কিনতে আসা গৃহিনী বেবি আক্তার বলেন, সরকার নির্ধারিত সিলিন্ডারের দাম এক হাজার ১৪০ টাকা হলেও বাজারে সঙ্গে এ দামের কোনো মিল নেই। ২৫০ টাকা বেশি দিয়ে ১২ কেজির সিলিন্ডার ১ হাজার ৩৫০ টাকায় কিনতে হলো।

নির্ধারিত মূল্যে মিলছে না এলপিজি সিলিন্ডার

এলপিজি সিলিন্ডার ব্যবসায়ী মোবারক হোসেন বলেন, একমাস আগেও সরকার নির্ধারিত মূল্যের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কেনাবেচা করতে পারতাম। কিন্তু কিছুদিন ধরে গ্যাস স্বল্পতার কথা বলে ডিলাররা মূল্য বেশি নিচ্ছেন। বেশি দামে কিনতে হচ্ছে বলে বেশি দামে বিক্রি করছি আমরা।

আরও পড়ুন: এলপিজি সিলিন্ডার ব্যবহারের সঠিক নির্দেশনা

আব্দুর রহিম নামের আরেক দোকানি বলেন, চাহিদা মোতাবেক এলপিজি পাচ্ছি না। ডিলাররা বলছে গ্যাস স্বল্পতা রয়েছে। তাই বাধ্য হয়ে সরকার নির্ধারিত ১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডার এক হাজার ৩০০ টাকা থেকে এক হাজার ৫০০ টাকায় কিনতে হচ্ছে।

নির্ধারিত মূল্যে মিলছে না এলপিজি সিলিন্ডার

এ বিষয়ে আই গ্যাস এলপিজির ডিলার শহিদুল ইসলাম ছোটন বলেন, বসুন্ধরা এলপিজি কোম্পানি ভোক্তা পর্যায়ে চাহিদার প্রায় এক তৃতীয়াংশ যোগান দিত। বাকি চাহিদা যোগান দিত অন্য সব এলপিজি কোম্পানি। কিন্তু সম্প্রতি বসুন্ধরা এলপিজি এলসি না করায় গ্রাহকরা অন্য এলপিজি আমদানিকারক কোম্পানিগুলোর দিকে ঝুঁকে পড়ে। এতে চাহিদার যোগান দিতে হিমশিম খাচ্ছে অন্য কোম্পানিগুলো। ফলে দেখা দিয়েছে সংকট। আমরা চাহিদা মতো সাপ্লাই পাচ্ছি না।

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সেলিমুজ্জান জাগো নিউজকে বলেন, জনবল সংকটের কারণে এক যোগে অভিযান পরিচালনা করতে পারছি না। তবে আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণে রূপগঞ্জেও শিগগির অভিযান পরিচালিত হবে।

আরএইচ/জেআইএম