ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

বদলগাছীতে বন্ধ মিলের নামে চাল বরাদ্দ

প্রকাশিত: ০৩:০৭ এএম, ২২ মার্চ ২০১৬

নওগাঁর বদলগাছীতে বন্ধ মিলের নামে চাল বরাদ্দ দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তারা বিভিন্ন বন্ধ মিলের তথ্য গোপন করে মিল মালিকদের নামে চাল বরাদ্দসহ নিম্নমানের চাল সংগ্রহ করেছেন। এতে রাজস্ব ফাঁকির পাশাপাশি কিছু কর্মকর্তা ও অসাধু ব্যবসায়ী লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে জানা গেছে।

চলতি বছর উপজেলায় চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৬০ মেট্রিক টন। উপজেলায় এবার ২৪টি চালকলে খাদ্য সরবরাহের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, যেসব চাল কলের নামে চাল সংগ্রহের বরাদ্দ হয়েছে তার অধিকাংশই বন্ধ। অনেক মিলের জানালা-দরজা নেই। প্রধান গেট তালাবদ্ধ থাকায় মরিচা ও জং ধরা। এমনকি বিদ্যুৎ সংযোগও নেই। বিষ্ণপুর গ্রামে মুসফিকা চাল কলের প্রোপাইটর মাহমুদুল হক মুরগি খামার করেছেন। অথচ ওই চালকলের নামে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। উপজেলা চালকল মালিক সমিতির সভাপতি আহসান হাবিব এর হাবিব চালকল বন্ধ থাকার পরও তার নামে বরাদ্দ হয়েছে।

এছাড়া কোমারপুরে প্রোপাইটর রুহুল আমীন এর আইকেআর চালকলের দরজা অর্ধেক ভাঙা ও বিদ্যুৎ সংযোগ নেই। মতিউর চালকলে দরজা-জানালায় জং ধরা, খলসি বাজার প্রোপাইটর আব্দুল মজিদের মন্ডল চালকলের প্রধান গেটের অর্ধেক মাটি দিয়ে ভরাট করা, মির্জাপুর গ্রামে রনি চালকল ঝালাই মেশিনের দোকান হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। মির্জাপুর গ্রামে রিফাত চালকল, জিয়ল গ্রামে চাচা-ভাতিজা চালকল, ঝর্ণা চালকলগুলো বন্ধ আছে। আর এ মিলগুলোতে শুধু ইরি মৌসুমে ধান শুকানো হয় বলে স্থানীয়রা জানান।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, বদলগাছী উপজেলার যেসব মিল হতে চাল সংগ্রহের বরাদ্দ দেয়া হয়েছে তার মধ্যে অধিকাংশ হাসকিং মিলই বন্ধ রয়েছে। মিলের অস্তিত্ব না থাকলেও টাকার বিনিময়ে চাল সরবরাহের সুযোগ করে দিয়েছে কর্মকর্তারা।

noagan

উপজেলা চালকল মালিক সমিতির সভাপতি আহসান হাবিব জানান, বর্তমানে ধান ও চালের বাজারে দূরাবস্থায় মিল চালানো লোকসানের। মিল বন্ধ থাকলেও আমাদের প্রতি বছর লাইসেন্স খরচ, বিদ্যুত বিলসহ বিভিন্ন খরচ হয় যা বরাদ্দের মাধ্যমে কিছুটা পুষিয়ে নেয়া যায়।

উপজেলা ফুড ইন্সপেক্টর নুরুজ্জামানের কাছ থেকে চলতি আমন মৌসুমে চাল বরাদ্দের তথ্য চাওয়া হলে তিনি বিভিন্ন তালবাহনা শুরু করেন। এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে বদলগাছী উপজেলা অতিরিক্ত খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা নাসির উদ্দীন জানান, বন্ধ মিলের নামে চাল বরাদ্দের বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে এই বরাদ্দটি আমার আগের কর্মকর্তা দিয়েছেন। আর তিনি তো অনেক আগেই দুর্নীতির দায়ে আটক হয়েছেন এবং কাগজে তারই স্বাক্ষর আছে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হুশাইন শওকত জানান, বন্ধ মিল থেকে চাল বরাদ্দের বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আব্বাস আলী/এসএস/পিআর