লিবিয়ায় ঘূর্ণিঝড়ে মৃত রাজবাড়ীর দুই যুবকের বাড়িতে শোকের মাতম
লিবিয়ায় ঘূর্ণিঝড় ড্যানিয়েল সৃষ্ট বন্যায় মারা গেছেন রাজবাড়ী পাংশার শাহিন ও সবুজ নামের দুই যুবক। এ খবরে নিহতের স্বজনদের মাঝে শোকের মাতম চলছে।
বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) লিবিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাসের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক বিবৃতিতে রাজবাড়ীর দুজনসহ ৬ বাংলাদেশি নিহতের তথ্য জানানো হয়।
নিহতরা হলেন- পাংশা উপজেলার যশাই ইউনিয়নের বাঁশগ্রাম ধোপাকেল্লা গ্রামের মৃত দুলাল খার ছেলে সুজন খা (২৫) ও একই উপজেলার হাবাসপুর ইউনিয়নের আরশেদ মণ্ডলের ছেলে শাহিন মণ্ডল (৩৫)।
স্থানীয় ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সোমবার তারা লিবিয়াতে সুজন ও শাহিনের মৃত্যুর খবর পান। এর মধ্যে শাহিনের দাফনের বিষয় নিশ্চিত হলেও সুজনের দাফনের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ফলে সুজনের মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনার দাবি পরিবারটির।
ঘূর্ণিঝড় ড্যানিয়েলের প্রভাবে দারনা শহরে বসবাসরত ছয় বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্য থেকে চারজনের প্রাথমিক পরিচয় পাওয়া গেছে। শাহীন, সুজন ছাড়াও নারায়ণগঞ্জের মামুন ও শিহাব মারা যান। তবে দূতাবাসের পক্ষ থেকে এখনও বাকি দুজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হয়নি।
আরও পড়ুন: লিবিয়ায় ঘূর্ণিঝড়ের পর বন্যায় ৬ বাংলাদেশির মৃত্যু
হাবাসপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য ওমর আলী জানান, শাহিনরা দুই ভাই, দুই বোন। ভাইয়ের মধ্যে সে ছোট। কাজকর্ম করেই তাদের সংসার চলে। হঠাৎ গত পরশুদিন লিবিয়াতে শাহিন মারা গেছে শুনে পরিবারের সবাই ভেঙে পড়েছে। পরিবারে শাহিনের বৃদ্ধ বাবা-মা, স্ত্রী ও ছোট দুটি শিশু সন্তান রয়েছে। এখন কিভাবে পরিবারটি চলবে তা আল্লাহই জানে।
সুজনের বড় ভাই জুবায়ের খান বলেন, চার ভাই-বোনের মধ্যে সুজন মেঝো। পরিবারের মুখে হাসি ফোটাতে ২০১৯ সালে সুজন লিবিয়াতে যায়। এরপর থেকে সংসারের খরচ সে মেটাতো। হঠাৎ সুজনের মারা যাবার খবরে সব এলোমেলো হয়ে গেলো। সোমবার দুপুরে সুজনের মৃত্যুর খবর পাই। কিন্তু ওর মরদেহ কি অবস্থায় আছে কিছুই জানি না।
রাজবাড়ীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সূবর্ণা রাণী সাহা জানান, বিভিন্ন মাধ্যমে লিবিয়াতে রাজবাড়ীর দুই ব্যক্তি নিহতের জানতে পারলেও সরকারি কোনো তথ্য বা চিঠি আমরা পাইনি। তবে এ নিয়ে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রাণালয় কাজ শুরু করে দিয়েছে। জেলা প্রশাসনের কাছে কোনো তথ্য বা সহযোগিতা চাইলে আমরা সেটি করবো।
রুবেলুর রহমান/আরএইচ/এমএস