টাকা নিয়েও জমিতে পানি দিচ্ছেন না অপারেটর, বিপাকে কৃষকরা
নওগাঁর মান্দা উপজেলার মৈনম ইউনিয়নের দূর্গাপুর গ্রামে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) গভীর নলকূপের অপারেটর বাহার আলীর বিরুদ্ধে টাকা নিয়েও জমিতে পানি না দেওয়ার অভিযোগে উঠেছে।
এর প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে দূর্গাপুর মধ্যপাড়া মসজিদ মোড়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী কৃষকরা। এ সময় ৫০ জন কৃষক উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন মান্দা উপজেলা ক্ষেত মজুর সমিতির সভাপতি সেকেন্দার আলী, ভুক্তভোগী কৃষক আছির উদ্দিন মন্ডল, আশরাফুল ইসলাম, আবুল কাসেম, আব্দুল্লাহ আল মামুন, নজরুল ইসলাম মোল্লা।
সংবাদ সম্মেলনে কৃষকরা জানান, ২০-২২ বছর আগে এ গ্রামে কৃষকের কথা চিন্তা করে গভীর নলকূপ স্থাপন করে বিএমডিএ। নলকূপ থেকে অন্তত ৭০-৮০ জন কৃষক ১৩০ বিঘা জমিতে সেচ দিয়ে চাষাবাদ করেন। চলতি আমন মৌসুমে কৃষকদের কাছ থেকে বিঘা প্রতি ১২০০ টাকা করে নেওয়া হয়। কিন্তু একবার সেচ দিয়ে ধান রোপণের পর জমিতে আর কোনো পানি দিচ্ছেন না বাহার আলী। দিনের পর দিন সেচের জন্য ঘুরতে হচ্ছে।
বিভিন্ন সময় অতিরিক্ত টাকাও নিয়ে থাকেন তিনি। এছাড়া একটি প্রতারণার মামলায় বাহার আলী তিন দিন ধরে কারাগারে বন্দি আছেন।

এ সব বিষয়ে উপজেলা বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে লিখিত অভিযোগ দিলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। ফলে সময় মতো সেচের পানি না পেলে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা কৃষকরা। দ্রুত অপারেটর পরিবর্তন করে নতুন কাউকে দায়িত্ব দেওয়া ও একই সঙ্গে বিএমডিএ কর্তৃপক্ষকে মাঠ পর্যায়ে তদারকি বাড়ানোর দাবি জানান তারা।
এদিকে প্রতারণার মামলায় বুধবার আদালতের মাধ্যমে নলকূপের অপারেটর বাহার আলীকে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। তাই অভিযোগের বিষয়ে তার বক্তব্য নেওয়া যায়নি।
মৈনম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, বাহার আলীর দায়িত্ব অবহেলার বিষয়টি স্থানীয় কৃষকরা আমাকে জানিয়েছেন। কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে কৃষকের স্বার্থে যেটা করলে ভালো হবে সেটা করা হবে।
উপজেলা বিএমডিএ’র সহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসজে/এমএস