বিএনপির রোডমার্চ
কিশোরগঞ্জে সমাবেশস্থলে জড়ো হচ্ছেন নেতাকর্মীরা
বিএনপির ময়মনসিংহ বিভাগীয় রোডমার্চের সমাপনী সমাবেশের স্থান কিশোরগঞ্জে সদর উপজেলার লতিবাবাদ চক্ষু হাসপাতাল সংলগ্ন বালুর মাঠ। তাই রোববার (১ অক্টোবর) দুপুর থেকে সমাবেশস্থলে জড়ো হতে শুরু করেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক ও কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি মো. শরিফুল আলম।
জানা গেছে, সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে ময়মনসিংহ বিভাগীয় এ রোডমার্চ কর্মসূচিটি রোববার সকাল ৯টায় জেলার ত্রিশাল উপজেলার বগার বাজার এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশ থেকে শুরু হয়। তবে রোডমার্চ বিকেল ৩টায় কিশোরগঞ্জ পৌঁছার কথা থাকলেও এখনো দেখা যায়নি।

রোডমার্চে বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলার নেতাকর্মীরা অংশ নিয়েছেন। স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান ও নজরুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে এ রোডমার্চ শুরুর আগে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে দলটি। ত্রিশাল থেকে শুরু হয়ে রোডমার্চটি চুরখাই, ময়মনসিংহ বাইপাস মোড়, চায়না মোড় ও ঈশ্বরগঞ্জ হয়ে কিশোরগঞ্জে সমাপনী সমাবেশে অংশ নেবে।
রোডমার্চ শেষে সমাপনী সমাবেশে স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান ও নজরুল ইসলাম খান ছাড়াও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক (ময়মনসিংহ বিভাগ) সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সহসাংগঠনিক সম্পাদক ওয়ারেছ আলী মামুনসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিত থাকার কথা।
তাড়াইল উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সারোয়ার হোসেন লিটন জানান, তাড়াইল থেকে সাড়ে ৪ হাজার নেতাকর্মী নিয়ে আমি রোডমার্চের সমাবেশে উপস্থিত হয়েছি। এ অবৈধ সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। রাজপথে রক্ত দেওয়ার জন্য আমরা প্রস্তুত আছি।

ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসাংগঠনিক নাইমুর রহমান দূর্জয় বলেন, আমাদের মা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে এ আন্দোলন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
উপজেলা বিএনপির সদস্য ও রশিদাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ইদ্রিস মিয়া বলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এ আন্দোলন চলবে। প্রয়োজনের শরীরের রক্ত দিয়ে হলেও দাবি আদায় করে ছাড়বো।
জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল বলেন, আমরা শুনতে পেলাম দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার আবেদন বাতিল করা হয়েছে। আমরা আর এ সরকারের কাছে মুক্তির দাবি জানাবো না। আন্দোলনের মাধ্যমে তাকে মুক্ত করবো ও মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনবো।
এসকে রাসেল/এসজে/এএসএম