লক্ষ্মীপুর-৩ উপনির্বাচনে জামানত হারালেন তিন প্রার্থী
লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসনের শূন্যপদে উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে লাঙ্গল, গোলাপ ফুল ও আম প্রতীকের তিন প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন। সোমবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে উপনির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও কুমিল্লা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিয়ম অনুযায়ী মোট ভোটের ৮ ভাগের এক ভাগ ভোট না পাওয়ায় তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত করা হয়।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, রোববার (৫ নভেম্বর) উপনির্বাচনে ১টি পৌরসভা ও ১২টি ইউনিয়নের ১১৫টি কেন্দ্রে ১ লাখ ২৮ হাজার ৬১২ জন ভোট প্রদান করেছেন। এটি মোট ভোটারের ৩১.৮৫ শতাংশ ভোট। এরমধ্যে নৌকার প্রার্থী গোলাম ফারুক পিংকু ১ লাখ ২০ হাজার ৫৯৯ ভোট পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ রাকিব হোসেন ৩ হাজার ৮৪৬, জাকের পার্টির সামছুল করিম খোকন ২ হাজার ১২৬ ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির সেলিম মাহমুদ ৫১৩ ভোট পেয়েছেন। নৌকার প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বী লাঙ্গলের চেয়ে প্রায় ৩১ গুণ বেশি ভোট পেয়েছেন। এছাড়া গোলাপের চেয়ে প্রায় ৫৬ গুণ ও আম প্রতীকের চেয়ে প্রায় ২৩৫ গুণ বেশি ভোট পেয়েছে নৌকা।
লাঙ্গলের প্রার্থী জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ রাকিব হোসেন বলেন, ক্ষমতাসীনরা কেন্দ্রে প্রভাব খাটিয়ে জাল ভোট দিয়েছেন। এটি প্রহসনের ভোট ছিল। নৌকায় সিল মারার ভিডিওটি তার বড় প্রমাণ। জালভোটসহ বিভিন্ন অভিযোগে আমি নির্বাচন চলাকালীন ভোট বর্জন করেছি। ছাত্রলীগ নেতার নৌকায় সিল মারার ভিডিও নিয়ে দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপনির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও কুমিল্লা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন বলেন, নির্বাচনী নীতিমালা অনুযায়ী মোট ভোটের ৮ ভাগের এক ভাগের কম পেলে প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের উপনির্বাচনে জাতীয় পার্টি, জাকের পার্টি ও ন্যাশনাল পিপল পার্টি একভাগ ভোটও পায়নি। এতে তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
কাজল কায়েস/এফএ/জিকেএস