মাদারীপুরে সরকারি জমি আত্মসাতের চেষ্টা, গ্রেফতার ২

মাদারীপুরে জেলা প্রশাসকের রেকর্ড করা সম্পত্তি আত্মসাতের চেষ্টার অভিযোগে ছয়জনের নামে মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (১২ নভেম্বর) রাতে ঘটমাঝি ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা রেবেকা সুলতানা বাদী হয়ে মাদারীপুর সদর মডেল থানায় মামলাটি করেন।

গ্রেফতাররা হলেন- ওই ইউনিয়নের ছয়না গ্রামের মন্নান মোল্লার ছেলে তাজেল মোল্লা এবং গৈদি গ্রামের শাহ আলম সিংয়ের ছেলে ফয়েজ আহমেদ।

আরও পড়ুন: সার্জেন্টের নামে প্রতারণা, জুতার নিচে লুকানো ছিল টাকা

অন্য চার আসামি হলেন- মাদারীপুর সদর উপজেলার ঘটমাঝি ইউনিয়নের কুন্তিপাড়া গ্রামের তৈয়ব আলী খানের ছেলে রুহুল আমিন খান, একই ইউনিয়নের ফকুসিয়া গ্রামের মৃত হাজী আব্দুল কুদ্দুস সিংয়ের ছেলে মাহমুদুল হাসান সিং, ছয়না গ্রামের আব্দুল মন্নান মোল্লার ছেলে রুবেল হোসেন মোল্লা এবং শহরের পুরান বাজার কলাতলা এলাকার সালাম সরদারের ছেলে মুন্না সরদার।

মামলা সূত্রে জানা যায়, মাদারীপুর সদর উপজেলার ঘটমাঝি ইউনিয়নের ১২৪ নম্বর ছয়না মৌজার বিআরএস ৪৪৬ নম্বর দাগের ১৩ শতাংশ এবং ১৭ নম্বর দাগের ১৮ শতাংশ জমি ১/১ খতিয়ানে জেলা প্রশাসকের নামে রেকর্ড করা। এই ৩১ শতাংশ জমি ব্যক্তি মালিকানা দাবি করে ভুয়া নামজারি ও খতিয়ান বসিয়ে বিক্রির চেষ্টা করেন একটি চক্র। সেখানে দেখা যায় জেলা প্রশাসনের রেকর্ড করা সম্পত্তি তাজেল মোল্লা ও রুবেল হোসেনের নামে মিউটেশন করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: বাসা ভাড়া নিতে এসে মোবাইল-টাকা নিয়ে পালিয়ে যান তিনি

এছাড়াও নতুন একটি খতিয়ান খোলা হয়েছে। যার কোনো অস্তিত্ব নেই। বিষয়টি প্রতারণা ও ভুয়া খতিয়ান বলে বুঝতে পেরে ওই দুজনকে ইউনিয়ন অফিসে আসতে বলেন ভূমি কর্মকর্তা। তাজেল মোল্লা ও তার এক সহযোগী ফয়েজ আহম্মেদকে নিয়ে রোববার দুপুরে ইউনিয়ন ভূমি অফিসে আসেন।

পরে পুলিশ এসে তাজেল ও ফয়েজকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পারে এই ঘটনার সঙ্গে ছয়জন জড়িত আছেন। পরে এই ঘটনায় ঘটমাঝি ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা রেবেকা সুলতানা ছয়জনকে আসামি করে রাতে মাদারীপুর সদর মডেল থানায় মামলা করেন। পরে মামলায় আটক দুজনকে গ্রেফতার দেখায় পুলিশ।

মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএইচএম সালাউদ্দিন বলেন, প্রতারণার অভিযোগে ও সরকারি সম্পত্তি আত্মসাতের চেষ্টার ঘটনায় ছয়জনের নামে মামলা হয়েছে। দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত থাকবে ।

আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে পুলিশ কর্মকর্তা পরিচয়ে প্রতারণা, যুবক আটক

মাদারীপুর সদর উপজেলা সরকারী কমিশনার (ভূমি) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, মাদারীপুর জেলা প্রশাসকের নামে রেকর্ড করা সম্পত্তি দুই ব্যক্তির নামে ভুয়া মিউটেশন ও খতিয়ান বহি খোলা হয়েছে। এমন প্রতারণার ঘটনা নজিরবিহীন। চক্রটির সঙ্গে আরও কারা জড়িত আছে, তাদের খোঁজে বের করে সর্বোচ্চ শাস্তির নিশ্চিতের দাবি জানাচ্ছি। যেন এমন অপরাধ করতে কেউ আর সাহস না পান।

আয়শা সিদ্দিকা আকাশী/জেএস/এএসএম