ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

সিজারের পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ, মারাই গেলেন প্রভাষক

উপজেলা প্রতিনিধি | কালীগঞ্জ (গাজীপুর) | প্রকাশিত: ০৫:১৯ পিএম, ২০ নভেম্বর ২০২৩

গাজীপুরের কালীগঞ্জে চিকিৎসকের অবহেলায় মুক্তা দে (৩২) নামের এক প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

শনিবার (১৮ নভেম্বর) দিনগত রাত আড়াইটার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

নিহত মুক্তা দে উপজেলার তুমলিয়া ইউনিয়নের চুয়ারিয়াখোলা গ্রামের মুকুল দের মেয়ে। তিনি ময়মনসিংহের ফুলপুর থানার মহদীপুর গ্রামের শ্রীকান্ত সরকারের স্ত্রী।

মুক্তা কালীগঞ্জ মহিলা ডিগ্রি কলেজের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রভাষক ছিলেন। তার চার বছরের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। এটা ছিল তার দ্বিতীয় সিজার। তবে নবজাতক পুত্রসন্তানটি সুস্থ আছে।

নিহতের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শনিবার রাত ৯টার দিকে প্রসব বেদনা উঠলে প্রভাষক মুক্তা দেকে গাজীপুরের কালীগঞ্জ পৌর এলাকার সেন্ট্রাল হাসপাতালে নিয়ে যান স্বজনরা। সেখানে যাওয়ার পর চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা দেন। সেগুলো করার পর সিজারের পরামর্শে দেন চিকিৎসক। কালীগঞ্জ সেন্ট্রাল হাসপাতালের চিকিৎসক মাইনুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে সিজার শেষে রাত সাড়ে ১১টার দিকে মুক্তাকে বেডে স্থানান্তর করা হয়।

রাত আড়াইটার দিকে রোগীর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ শুরু হয়। তখন চিকিৎসক মাইনুল ইসলাম কালীগঞ্জের সাবেক এক গাইনি বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলে উত্তরার একটি প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। রোগীর স্বজনরা উত্তরার ওই প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে যেতে রওয়ানা দেন। তবে রোগীর অবস্থা খারাপ হলে অ্যাম্বুলেন্সচালকের পরামর্শে উত্তরার অন্য একটি হাসপতালে নেওয়া হয় মুক্তাকে।

তবে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ওই হাসপাতালে রোগীকে ভর্তি নেওয়া হয়নি। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন স্বজনরা। তবে পথেই মারা যান মুক্তা দেন।

নিহত প্রভাষক মুক্তা দের ভাই অনুপ দে অভিযোগ করে বলেন, ‘সিজারের পর থেকে দিদির রক্তক্ষরণ হচ্ছিল কিন্তু ডাক্তার আমাদের জানায়নি। বরং ডাক্তার চিকিৎসা না দিয়ে অন্য একটি হাসপাতালে চলে যান সিজার করাতে। পরে গভীর রাতে অবস্থা খারাপ দেখে তড়িগড়ি করে রেফার করেন। ডাক্তার সময়মতো ব্যবস্থা নিলে হয়তো আমাদের এত বড় সর্বনাশ হতো না।’

এ বিষয়ে জানতে কালীগঞ্জ সেন্ট্রাল হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশরাফুল ইসলাম কুসুমের ফোনে একাধিকবার কল দিলেও সংযোগ পাওয়া যায়নি।

অভিযুক্ত চিকিৎসক মাইনুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের এখানে সিজার হয়েছে ঠিক আছে। পরে রোগীর অবস্থা খারাপ দেখে আমি তাদের রেফার করেছি। কিন্তু তারা সময়মতো নিয়ে যাননি।’

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আজিজুর রহমান বলেন, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে হাসপাতালটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আব্দুর রহমান আরমান/এসআর/এএসএম