ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

পিঠা বেচে সংসার চলে সাদেক মিয়ার

এম মাঈন উদ্দিন | মিরসরাই (চট্টগ্রাম) | প্রকাশিত: ০৯:৫৫ এএম, ২৬ নভেম্বর ২০২৩

শীত এলে সড়কের পাশে পিঠা বিক্রির পসরা বসে। সন্ধ্যার পর গ্রাম-শহরের বিভিন্ন পাড়া-মহল্লার ভ্রাম্যমাণ এসব দোকানে ভাপা, চিতই ও তেলের পিঠা বিক্রি শুরু হয়। চলে মধ্যরাত পর্যন্ত।

চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলা বড়তাকিয়া বাজারে পিঠা বিক্রি করেন মো. সাদেক মিয়া। দুটি চুলায় চিতই ও ভাপা পিঠা তৈরি করছেন তিনি। পাশের বেঞ্চে বসে ক্রেতারা গরম গরম পিঠা খাচ্ছেন। কেউ কেউ বাসা-বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছেন।

pitha

স্থানীয়রা জানান, প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত এখানে ক্রেতাদের ভিড় থাকে। ইকোনমিক জোনের প্রবেশমুখ হওয়ায় ক্রেতা সমাগমও বেশি হয় এখানে। অফিস শেষে ফেরার পথে সড়কের কাছে ফুটপাতে চোখে পড়ে দোকানটি। এসব মুখরোচক পিঠায় দেওয়া হচ্ছে নারিকেল ও গুড়। সেই সঙ্গে পিঠা খেতে ফ্রি দেওয়া হয় সরিষা বাটা, শুটকির ভর্তা ও মরিচ বাটা।

পিঠা বিক্রেতা মো. সাদেক মিয়া জানান, ভাপা পিঠা ১০ টাকা, চিতই পিঠা ১০ টাকা ও তেলের পিঠা ১০ টাকা ধরে বিক্রি করছেন। তবে ভাপা পিঠার কদর বেশি। ক্রেতারা এ দামে সন্তুষ্ট। ছোট বড় সব বয়সী মানুষ আসেন এখানে পিঠা খেতে। ভাপা ও চিতই মিলে প্রতিদিন প্রায় ১৪০-১৫০ পিচ পিঠা তৈরি করেন তিনি। যাতে ১৬০০-২০০০ টাকা বিক্রি হয়। একজন সহযোগীকে মজুরি হিসেবে দিতে হয় দৈনিক ৩০০ টাকা। বাকি টাকায় চলে সাদেক মিয়ার সংসার।

pitha

আরও পড়ুন: সকালে ইট ভেঙে বিকেলে পিঠা বেচে সংসার চলে সত্তরোর্ধ্ব সুবুর

শুধু বড়তাকিয়া বাজারে নয়। পুরো উপজেলাজুড়ে ফুটপাতে বিক্রি হচ্ছে এসব শীতের পিঠা। উপজেলার আবুতোরাব, বড়তাকিয়া, মিঠাচড়া, জোরারগঞ্জ ও বারইয়ারহাটে বিক্রি হচ্ছে মুখরোচক এ শীতের পিঠা।

কথা হয় ব্যাংক কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদ হোসেনের সঙ্গে। তিনি জানান, গ্রামে শীত নেমেছে। শীত আসার পর থেকে পিঠা বিক্রি শুরু হয়েছে। আমার পছন্দের ভাপা পিঠা। এক সময় মায়ের হাতে বানানো পিঠা খেয়েছি। চাকরির সুবাদে দূরে থাকায় এখন আর তেমন খাওয়া হয় না।

pitha

পিঠা খেতে আসা মিরসরাই ইকোনমিক জোনের একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে কর্মরত জামাল উদ্দিন নামের এক ক্রেতা জানান, প্রতিদিন কাজ শেষে বাসায় ফেরার সময় চোখে পড়ে এ শীতের পিঠা। আর শীতকালীন সময়ে এ পিঠার লোভ কে সামলাতে পারে। তাই প্রতিদিন পিঠা খেতে এখানে আসি।

এম মাঈন উদ্দিন/আরএইচ/এমএস