ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়িতে গুলিবর্ষণ
নোয়াখালীতে আ’লীগ নেতাসহ ৬৬ জনের নামে মামলা
নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার ছাতারপাইয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুর রহমানের বাড়িতে হামলার ঘটনায় থানায় মামলা করা হয়েছে। এতে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেন সুমনকে প্রধান আসামি করে ৬৬ জনের নামোল্লেখ এবং আরও ২০-৩০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রহমানের স্ত্রী রোকসানা আক্তার বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজিম উদ্দিন মামলার বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, চেয়ারম্যান আবদুর রহমানের স্ত্রী রোকসানা আক্তারের দায়ের করা অভিযোগটি মামলা হিসেবে রুজু করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ছাতারপাইয়া ইউনিয়নের ঠনারপাড় গ্রামের ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রহমানের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর, লুটপাট ও গুলিবর্ষণ করে দূর্বৃত্তরা। চেয়ারম্যান আবদুর রহমান নোয়াখালী-২ (সেনবাগ-সোনাইমুড়ী আংশিক) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিকের (কাঁচি) সমর্থক।

আবদুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, ‘ওইদিন সন্ধ্যায় ৫০-৬০ জনের একটি দল আমার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ককটেল বিস্ফোরণ ও পাঁচ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে। পরে বাড়ির দরজা-জানালার কাঁচ ও ভেতরের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের ছোট ছেলে সাইফুল আলম দিপুর নেতৃত্বে তার বাহিনী এ হামলা চালায়। তারা আমার বাড়ির কিছুই রাখেনি। ভাঙচুরের পর ব্যাপক লুটপাট করেছে। আমি দিপুর সঙ্গে তর্কও করেছি। তারা সিসিটিভির ফুটেজ নিয়ে গেছে। পুলিশকে গুলির খোসাসহ হামলার সরঞ্জাম বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
নোয়াখালী-২ আসনে মোট সাতজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরমধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সহ-সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিকের (কাঁচি) প্রতিদ্বন্দ্বিতা জমে উঠেছে।
ইকবাল হোসেন মজনু /এফএ/জিকেএস