পঞ্চগড়
নির্বাচনের পর স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীকে মারধর, গ্রেফতার ৩
ছবি ভিডিও থেকে নেওয়া
পঞ্চগড়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী ও যুবলীগ নেতাকে মারধরের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার অভিযান চালিয়ে তাদের বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতাররা হলেন, জেলা সদরের চাঁনপাড়া এলাকার হাসিবুল ইসলাম (২৬), পূর্ব জালাসী এলাকার কামরুল ইসলাম (২৮) ও পুকুরীডাঙ্গা এলাকার এনামুল ইসলাম (৪৫)।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে জেলা শহরের ভাসানী মোড় এলাকায় মারধরের ঘটনা ঘটে। সদর উপজেলা যুবলীগের সহ-সম্পাদক ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ার সাদাত সম্রাটের কর্মী শাহাদত হোসেন সাদাতকে মারধর করা হয়।
অভিযোগ রয়েছে, নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও ৭ জানুয়ারির ভোটে নির্বাচিত সংসদ সদস্য নাঈমুজ্জামান ভূঁইয়ার (মুক্তা) কয়েকজন কর্মী মারধর করেন।

ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। এ ঘটনায় পরদিন শুক্রবার সদর থানায় মামলা করেন শাহাদত হোসেন। আসামি করা হয়, জেলা শহরের পূর্ব জালাসী পাড়া এলাকার মফিজুল ইসলাম (৪০), জহিরুল ইসলাম (৩৫), আল আমিন (৩৫), রফিকুল ইসলাম (৩৮) ও শরিফ হোসেনসহ ১০ জনকে।
ভিডিওতে দেখা যায়, শাহাদতকে ১০-১২ জন যুবক মারধর করছেন। এসময় তিনি নিজেকে অসুস্থ দাবি করেও ছাড় পাননি। তারা কিল-ঘুষিসহ লাঠি দিয়ে আঘাত করতে থাকেন। একপর্যায়ে তাকে কান ধরতেও বাধ্য করা হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
মারপিটের শিকার শাহাদত বলেন, উপজেলা সদরের পুকুরীডাঙ্গা এলাকায় নিজ প্রতিষ্ঠান থেকে ডাক্তার দেখানোর জন্য জেলা শহরের হাসপাতালে যাচ্ছিলাম। পথে ইজিবাইক থামিয়ে স্থানীয় ১০-১৫ তাকে টেনেহিঁচড়ে নামিয়ে রাস্তার পাশেই মারধর শুরু করেন। হামলাকারীরা নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য নাঈমুজ্জামান ভূঁইয়ার সমর্থক।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পঞ্চগড় সদর থানার উপপরিদর্শক সাহিদুর রহমান বলেন, আমরা তিন আসামিকে গ্রেফতার করেছি। তাদের আদালতের মাধ্যমে পাঠানো হয়েছে জেলহাজতে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত।
এসএইচএ/জেডএইচ/