তীব্র শীতে বিপাকে নিম্নআয়ের লোকজন
নোয়াখালীতে তীব্র শীতে বিপাকে পড়েছেন নিম্নআয়ের লোকজন। দুই দিনেও জেলার কোথাও দেখা মেলেনি সূর্যের। ঘন কুয়াশায় ঝুঁকি নিয়ে সড়কে চলছে যানবাহন।
রোববার (১৪ জানুয়ারি) জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবার (১৩ জানুয়ারি) ছিল ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বিভিন্ন উপজেলায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রোববার সারাদিনে সূর্যের দেখা মেলেনি। দুপুর ১২টায়ও ঘন কুয়াশায় ঢাকা ছিল চারদিক। হেডলাইট জ্বালিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করেছে যানবাহন। হিমেল বাতাসে সবচেয়ে বেশি কষ্ট পাচ্ছে শিশু, বৃদ্ধ আর ছিন্নমূল মানুষ। আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন অনেকে। শ্রমিক ও দিনমজুর শ্রেণির মানুষকে বেশি দুভোর্গ পোহাতে হচ্ছে।

কবিরহাট উপজেলার বোরো চাষি আবদুর রহমান বলেন, ‘জমিনে নিড়ানি দেওয়া প্রয়োজন কিন্তু এমন ঠান্ডা পড়ছে কাজের লোকই পাচ্ছি না। এভাবে আর কিছুদিন অতিবাহিত হলে কৃষকদের ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়ে যাবে।’
সোনাপুর রেলস্টেশনের শ্রমিক আসগর আলী বলেন, ‘স্টেশনজুড়ে হিমশীতল ঠান্ডায় টেকা দায়। তবুও পেটের দায়ে কাজ করতে এলাম। কিন্তু ঠান্ডার কারণে ট্রেনের যাত্রী কম থাকায় কাজও কম।’
মাইজদী জজকোর্ট সড়কে খোলা বাজারে বিক্রি হচ্ছে গরমের কাপড়। নিম্নআয়ের লোকজন গরম কাপড় কিনতে এখানে ভিড় করছেন। রিকশাচালক আলাউদ্দিন অভিযোগ করেন, দুদিন আগে যে জামা ৩০০ টাকায় কিনেছেন তার এখন দ্বিগুণ দাম চাচ্ছেন দোকানি।
তবে বিক্রেতা আবদুল করিম বলেন, যেদিন যে দামে কেনা সেদিন সেই দামে বিক্রি করা হয়।

মাইজদী বাজারের চা দোকানদার রফিকুল ইসলাম জানান, শীতের তীব্রতা বাড়ায় গরম চায়ের বিক্রি বেড়েছে। গত দুদিনে তিনি অন্তত দুই হাজার কাপ চা বিক্রি করেছেন।
চৌমুহনী বাজারে কাজের আশায় হাটে আসা দিনমজুররাও চরম কষ্টে রয়েছেন। রামগতি থেকে আসা মফিজ মিয়া বলেন, বাজারে গৃহস্থ কম আসায় কাজে যাওয়া হচ্ছে না শ্রমিকদের। এভাবে আরও কয়েকদিন চলতে থাকলে না খেয়ে থাকতে হবে।
নোয়াখালী আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, গত তিনদিন ধরে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। এ অবস্থা আরও কয়েকদিন থাকবে। সপ্তাহের শেষের দিকে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তাহলে শীতের তীব্রতা আরও বাড়তে পারে।
ইকবাল হোসেন মজনু/এসআর