ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

রাতে নিখোঁজ, দুপুরে কবরস্থানে মিললো কিশোরের মরদেহ

নিজস্ব প্রতিবেদক | বগুড়া | প্রকাশিত: ০২:২৭ পিএম, ২৩ জানুয়ারি ২০২৪

বগুড়া সদরে তাজবীর রহমান (১৫) নামে এক কিশোর ওয়ার্কশপ শ্রমিককে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।

মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার বারপুর উত্তরপাড়া একটি কবরস্থান থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত তাজবীর সদর উপজেলার নুনগোলা ইউনিয়নের দশটিকা গ্রামের তাজুল ইসলামের ছেলে। সে বারোপুর সোনাপাড়ায় গ্লীল ওয়ার্কশপে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতো।

পুলিশের ধারণা, সোমবার (২২ জানুয়ারি) রাতের কোন একসময় দুর্বৃত্তরা ছুরিকাঘাতে তাজবীরকে হত্যা করেছে। তার শরীরে একাধিক স্থানে ছুরকাঘাত করা হয়েছে।

তাজবীরের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

নিহত তাজবীরের মা মুক্তা বেগম জাগো নিউজকে বলেন, প্রতিদিন ওয়ার্কশপে কাজ শেষে রাত ৮টার মধ্যেই সে সাইকেল নিয়ে বাড়ি আসে। সারারাতেও তাজবীর বাড়ি আসেনি। রাতেই ওয়ার্কশপের মালিক ও আত্মীয় স্বজনদের কাছে খোঁজ করেছিলাম কিন্তু কেউ কোন তথ্য দিতে পারেনি। মঙ্গলবার সকালে থানায় জিডি করতে যাওয়া সময় এখানে একটি মরদেহ উদ্ধারের খবর পাই। এসে দেখি আমার ছেলেকে কি কষ্ট দিয়ে মেরে ফেলছে। তার সাইকেলটিও পাইনি।

jagonews24

মুক্তা বেগম আরও বলেন, তাজবীরের কাছে মোবইলও ছিলনা। সে খুব বাধ্য ছেলে ছিল। কারও সঙ্গে তার কোনো ঝগড়া ছিলনা। জানিনা কেউ কেন তাকে মারলো। আমি সুষ্ঠু বিচার চাই।

ওয়ার্কশপ মালিক রফিকুল ইসলাম বলেন, তাজবীর গত দুই বছর ধরে আমার প্রতিষ্ঠানে কাজ করছিল। গতকাল সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে কাজ শেষে সাইকেল নিয়ে সে বের হয়ে যায়। পরে রাত ১টার দিকে তার মা ফোন দিয়ে জানায়, তাজবীর এখনও বাড়ি ফেরেনি। তাজবীর খুব ভালো ছেলে ছিল। কোনো আজেবাজে অভ্যাস ছিলনা।

বগুড়া সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইহান ওলিউল্লাহ জাগো নিউজকে বলেন, বারপুর-দশটিকা সড়ক থেকে অনেক ভেতরে কবরস্থানে কিশোরের মরদেহ পাওয়া গেছে। ছুরিকাঘাতে তাকে হত্যা করা হয়েছে। তবে শুধু সাইকেল ছিনতাই নাকি অন্য কোনো কারণে এ হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়েছে তদন্ত শেষে সেটা বলা যাবে।

এনআইবি/জিকেএস