দেড় মাসের সাজা এড়াতে ৪ বছর পালিয়েও হলো না শেষ রক্ষা
ফেনীর সোনাগাজীতে প্রতারণা, চেক জালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় দেড় মাসের সাজা ও ১ লাখ ৭০ হাজার ২০০ টাকার অর্থদণ্ড পেয়েছিলেন আবদুল মান্নান (৪২)। সেই সাজা থেকে বাঁচতে নাম-পরিচয় গোপন করে চার বছর চট্টগ্রামে পালিয়ে ছিলেন। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। পুলিশের কাছে ধরা পড়েছেন তিনি।
রোববার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার ছাড়াইতকান্দি এলাকা থেকে আবদুল মান্নানকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিকেলে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। মান্নান উপজেলার সদর ইউনিয়নের ছাড়াইতকান্দি এলাকার আহসান উল্যাহর ছেলে।
পুলিশ জানায়, ২০২০ সালে প্রতারণা, চেক জালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে আবদুল মান্নানের বিরুদ্ধে ফেনীর আদালতে একটি মামলা হয়। ওই মামলায় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায়। দুই সপ্তাহ কারাভোগের পর জামিনে বের হয়ে তিনি গা ঢাকা দিয়ে আত্মগোপনে চলে যান। আর আদালতে হাজির হননি। সাক্ষ্য-প্রমাণে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত তাকে একটি মামলায় দেড় মাসের কারাদণ্ড ও ১ লাখ ৭০ হাজার ২০০ টাকা অর্থদণ্ড দেন।
সোনাগাজী মডেল থানার এএসআই জহিরুল ইসলাম বলেন, আদালত থেকে গ্রেফতারি পরোয়ানা পাওয়ার পর তিনিসহ থানার একাধিক কর্মকর্তা মান্নানের খোঁজে মাঠে নামেন। কিন্তু আত্মগোপনে থাকায় তার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। গ্রেফতার এড়াতে মান্নান প্রায়ই স্থান পরিবর্তন করতেন। কয়েকদিন আগে তাকে ধরতে তার গ্রামের বাড়িতে ও সম্ভাব্য কয়েকটি স্থানে গিয়ে খোঁজখবর নেয় পুলিশ। পরে এক ব্যক্তির মাধ্যমে তারা জানতে পারে, মান্নান গ্রেফতারের ভয়ে নাম-পরিচয় গোপন করে চট্টগ্রামে আত্মগোপনে রয়েছেন। মাঝে মধ্যে রাতে বাড়িতে এসে আবার ভোর হওয়ার আগে চলে যান। পরে ওই ব্যক্তির কাছ থেকে তার মুঠোফোন নম্বর ও ছবি সংগ্রহ করা হয়। সেই নম্বরের সূত্র ধরে রোববার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার ছাড়াইতকান্দি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এছাড়া মান্নানের বিরুদ্ধে একই অভিযোগে ফেনীর আদালতে আরও একটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে।
সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুদ্বীপ রায় পলাশ জানান, আবদুল মান্নাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রোববার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে ফেনী কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এবিএএম/কেএএ