ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

গাজীপুর

পল্লীবিদ্যুতের পাঁচ কর্মকর্তার নামে দুদকের মামলা

জেলা প্রতিনিধি | গাজীপুর | প্রকাশিত: ১২:৩১ পিএম, ০৭ মার্চ ২০২৪

গাজীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির পাঁচ কর্মকর্তা ও এক ঠিকাদারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ৭৯ লাখ ৪০ হাজার ৩০৩ টাকার মালামাল আত্মসাৎ ও আত্মসাতে সহযোগিতার অপরাধে মামলাটি দায়ের করা হয়।

বুধবার (৬ মার্চ) দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, গাজীপুরে সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মো. সেলিম মিয়া বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার আসামিরা হলেন- পল্লী বিদ্যুতের ঠিকাদার মো. মামুন উর রশিদ, গাজীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর তৎকালীন সিনিয়র জিএম প্রকৌশলী যুবরাজ চন্দ্র পাল, এজিএম (ইএন্ডসি) এস এম নাহিদ সিরাজ, সাবেক সহকারী প্রকৌশলী মো. নুরুল ইসলাম, জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার উজ্জ্বল চন্দ্র সরকার ও স্টোর কিপার আব্দুল হামিদ।

দুদকের গাজীপুর জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের উপ-পরিচালক বায়োজিদুর রহমান খান জানান, গাজীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এ লাইন রক্ষণাবেক্ষণ/ফিডার লোড ব্যালেন্সিং/আপগ্রেডেশন কাজ/লাইন নির্মাণ কাজের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হলে ঠিকাদার মো. মামুন উর রশিদ তিনটি প্রতিষ্ঠানের নামে প্রতারণা ও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে কাগজপত্র তৈরি করে ভুয়া দরপত্র দাখিল করেন। পল্লী সমিতির কর্মকর্তারা যাচাই-বাছাই ছাড়াই কোনোরূপ চুক্তি সম্পাদন ব্যতিরেকে ওইসব ভূয়া প্রতিষ্ঠানের নামে কার্যাদেশ প্রদান করেন।

পরবর্তীতে ঠিকাদার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের যোগসাজসে চাহিদাপত্র ঘষামাজা (টেম্পারিং) করে উক্ত তিনটি প্রতিষ্ঠানের নামে ৪ কোটি ৪৬ লাখ টাকার মালামাল উত্তোলন করেন। কিন্তু উত্তোলিত মালামাল দিয়ে নির্ধারিত সময়ে অধিকাংশ নির্মাণকাজ সম্পন্ন না করে আত্মসাতের চেষ্টা করলে পুলিশের সহায়তায় তার গোডাউন থেকে কিছু মালামাল উদ্ধার করা হয়। বাকি ৭৯ লাখ ৪০ হাজার ৩০৩ টাকা ঠিকাদার মো. মামুন উর রশিদ আত্মসাৎ করতে সমর্থ হন মর্মে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা মো. সেলিম মিয়া তার প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন।

তৎপ্রেক্ষিতে পরস্পরের যোগসাজশে প্রতারণার আশ্রয়ে জাল ও সৃজিত রেকর্ডপত্র ব্যবহার করে ক্ষমতার অপব্যবহারপূর্বক ৭৯ লাখ ৪০ হাজার ৩০৩ টাকার মালামাল আত্মসাৎ ও আত্মসাতে সহযোগিতার অপরাধে ঠিকাদার মো. মামুন উর রশিদ ও গাজীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/১০৯/৪৬৮/৪৭১ ধারা ও ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়।

আমিনুল ইসলাম/এফএ/এএসএম