ফের ডানা মেললো জালে আটকা লক্ষ্মীপ্যাঁচা
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় একটি লক্ষ্মীপ্যাঁচা উদ্ধারের পর অবমুক্ত করেছেন অ্যানিমেল লাভার্স অফ পটুয়াখালীর কলাপাড়া টিমের সদস্যরা। সোমবার (১৮ মার্চ) রাতে উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়ন থেকে উদ্ধার করা হয় প্যাঁচাটি।
লম্বা পাখনা, ফ্যাকাশে ও হৃদয় আকৃতি মুখের গড়ন এবং বর্গাকৃতির লেজ বিশিষ্ট এ লক্ষ্মীপ্যাঁচাটির বৈজ্ঞানিক নাম Tyto alba (টয়টো আলবা)। লক্ষ্মীপ্যাঁচার ইংরেজি নাম: Barn Owl। ২ কেজি ওজনের এ প্রাণীটি এক ধরনের পেঁচা প্রজাতির পক্ষীবিশেষ।
আবুল বাশার (৫৫) নামে এক ব্যক্তি প্যাঁচাটি আমীরাবাদ গ্রাম থেকে উদ্ধারের পর প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ওই এলাকায় অবমুক্ত করেন।
এ প্রজাতির প্যাঁচা দিনে চোখে দেখতে পায় না বলে জানিয়েছেন এনিমেল লাভারস অফ পটুয়াখালীর সদস্যরা।

আবুল বাশার বলেন, সন্ধ্যায় লক্ষ্মীপ্যাঁচাটি আমার এক প্রতিবেশীর জালে আটকা পড়ে। আমি প্যাঁচাটি উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসি। পরে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে অ্যানিমেল লাভারস অফ পটুয়াখালীর কলাপাড়া টিমের সদস্যদের উপস্থিতিতে প্যাঁচাটি অবমুক্ত করি। এযুগে আগের মতো আর লক্ষ্মীপ্যাঁচা সচরাচর দেখা মেলে না।
অ্যানিমেল লাভারস অফ পটুয়াখালীর কলাপাড়া টিমের সদস্য বায়জিদ মুন্সী জানান, এটি জালে আটকে কিছুটা অসুস্থ হয়ে পড়ে। তবে শরীরের কোথাও আঘাত লক্ষ্য করা যায়নি। নিশাচর হওয়ায় রাতেই আমরা প্যাঁচাটি অবমুক্ত করেছি। আমরা এনিমেল লাভার অফ পটুয়াখালী স্বেচ্ছাসেবী প্রাণিকল্যাণ ও পরিবেশবাদী সংগঠনের সদস্যরা মূলত বন্যপ্রাণী নিয়ে কাজ করি। আমরা এর আগেও বেশ কিছু বন্যপ্রাণী উদ্ধার করে অবমুক্ত করেছি। তবে এই প্রথম লক্ষ্মীপ্যাঁচা উদ্ধারের পর অবমুক্ত করলাম।
কলাপাড়া উপজেলা বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা মনিরুল হক মনি জানান, লক্ষ্মীপ্যাঁচা উদ্ধারের খবর শুনেছি। এনিমেল লাভার্স অফ পটুয়াখালীর সদস্যরা এই প্যাঁচাটি উদ্ধার করে অবমুক্ত করেছে। আমরা বন বিভাগ সব সময় তাদেরকে সহযোগিতা করি।
আসাদুজ্জামান মিরাজ/এফএ/জেআইএম